রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০৪:৪৮:২৬

রাগ নিয়ন্ত্রণে যা করতে বললেন রাসুলুল্লাহ (সা.)

রাগ নিয়ন্ত্রণে যা করতে বললেন রাসুলুল্লাহ (সা.)

ইসলাম ডেস্ক : কুরআন-হাদিসে রাগ দমনে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। এর মাধ্যমে দুনিয়া-আখেরাতের সাফল্য অর্জন করা সহজ হয়। তবে ইসলাম ধর্ম পালন কিংবা আমলের বিষয়ে রাগ করা যাবে। ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণে কিছু কৌশলের কথা বলা হয়েছে। 

আউজুবিল্লাহ পাঠ করা: সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রা.) বলেন, দুই ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পর গালাগাল করছিল। তাদের একজনের চোখ লাল হয়ে উঠল ও গলার শিরা ফুলে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে। 

সে বাক্যটি হলো- বাংলা উচ্চারণ: আউজু বিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রজিম।
বাংলা অর্থ: আমি আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (মুসলিম, হাদিস: ৬৮১২) 

অজু করা: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। নিশ্চয়ই পানির দ্বারা আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয়, সে যেন তখন অজু করে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৬)

শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কারও রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৪)

চুপ থাকা: প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা না করে চুপ হয়ে যাওয়া। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,  তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৪৭৮৬)

রাসুল (সা.) বলেছেন, সে প্রকৃত বীর নয় যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়; বরং সে-ই প্রকৃত বীর যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। (বুখারি)

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে