ইসলাম ডেস্ক: মানুষ তার প্রতিটি কথা সংযত ও উত্তম মার্জিত ভাষায় বলবে-আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এমনটাই শিক্ষা দিয়েছেন। এবং তিনিও সবসময় হাসিমুখে কথা বলতেন।
হাদিসে হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আগে সালাম পরে কথা।’ -সুনানে তিরমিজি : ২৮৪২
নবী করিম (সা.) ছোট-বড় সবাইকে সালাম প্রদান করতেন এবং প্রথমে সালাম দিতেন। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘তিনি রাসূল (সা.)-এর সঙ্গে পথ চলছিলেন। তখন রাসূল (সা.) কয়েকটি শিশুকে অতিক্রম করছিলেন। তিনি তাদেরকে সালাম করলেন।’ সহিহ মুসলিম : ৫৭৯৩
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সব সময় হাসিমুখে কথা বলতেন। তিনি কখনও মুখ কালো করে থাকতেন না। এমনকি ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ-ব্যথাগুলো তার কথা ও আচরণে প্রকাশ পেতো না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হারেস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) অপেক্ষা অধিক মুচকি হাসতে আর কাউকে দেখি নি।’ -মুসনাদে আহমদ : ১৭৭৪০
হজরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘আমি ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে রাসূল (সা.) আমাকে তার দরবারে উপস্থিত হতে বাঁধা দিতেন না এবং আমাকে দেখলেই তিনি মুচকি হাসতেন।’ -সহিহ বোখারি : ৩৮২২
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জেএম/আরএম