 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
ইসলাম ডেস্ক : দোয়া ইবাদতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা ছাড়া বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি বা ভাগ্য পরিবর্তনের কোনো উপায় নেই। এজন্য মুমিনরা সর্বদা দুশ্চিন্তা বা কল্যাণের আশায় মহান রবের কাছে হাত তুলে প্রার্থনা করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ু বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ছাড়া অন্য কিছু তাকদীর পরিবর্তন করতে পারে না।(ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৪০২২)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন, প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনে, আশা করা যায় তারা সফল হবে। (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, এমন কিছু বিশেষ সময় রয়েছে যখন বান্দার দোয়া দ্রুত কবুল হয়। নিচে সেসব সময়ের মধ্যে তিনটি উল্লেখ করা হলো—
শেষরাতের দোয়া
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহামহিম আল্লাহ তা’য়ালা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে নিকটবর্তী আসমানে (প্রথম আসমান) অবতরণ করে ঘোষণা করতে থাকেন- কে আছে এমন যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছ এমন যে আমার কাছে চাইবে? আমি তাকে তা দেবো। কে আছ এমন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করবো। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১০৭৯)
আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া
দোয়ার জন্য উত্তম একটি সময় হলো আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়। আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে করা দোয়া কখনোই প্রত্যাখ্যাত হয় না। (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ৫২১)
ফরজ নামাজের পর দোয়া
আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, একবার রাসুল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করা হলো- ইয়া রাসুলাল্লাহ! (সা.) কোন দোয়া বেশি কবুল হয়? জবাবে নবীজি (সা.) বললেন, শেষ রাতের মাঝে আর ফরজ সালাতের (নামাজ) পরে। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৯৯)