সোমবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:৫৭:৪৭

স্ত্রীর এমন অভিযোগের যে জবাব দিলেন আবু ত্বহা আদনান

স্ত্রীর এমন অভিযোগের যে জবাব দিলেন আবু ত্বহা আদনান

ইসলাম ডেস্ক : রংপুরের আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তার স্ত্রী সাবিকুন নাহারের একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু হয় আলোচনার ঝড়। তবে এ বিষয়ে চুপ থাকলেও আজ সোমবার আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান এক ফেসবুক পোস্টে স্ত্রীর অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান ফেসবুক পোস্টে শুরুতেই বলেন, ‘আমার প্রিয়তমা স্ত্রী সাবিকুন নাহার অল্প সময়ের ব্যবধানেই দুটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন, দুটোই আমার প্রতি তার অপার ভালোবাসার নিদর্শন।

হ্যাঁ, সে ভুল করেছে, ভুল বুঝেছে। তার ক্বলব জানে সে ভুল। হয়তো না বুঝেই সামান্য হলেও দ্বীনের ক্ষতি করে ফেলেছে। যদিও মহান আল্লাহর দ্বীন কোনো ব্যক্তি, ক্বওম বা মুখাপেক্ষি নয়। সে অনুতপ্ত হয়েছে। ক্ষমা চেয়েছে। এটাই যথেষ্ট।’ স্ত্রীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়াল্লাহি আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

এমনকি যদি তুমি ইমাম হাসানের ক্বাতেলের মতোও হতে তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিতাম। কারণ আমি তোমাকে এক আল্লাহর জন্য মুহাব্বত করি। এটা সত্য যে বিগত ৪ বছরের সংসার জীবনে আমি অসংখ্যবার তোমার দ্বারা অসম্ভব রকমের আহত হয়েছি। কখনো বা ক্ষতবিক্ষত হয়েছি, একে অপরকে ছেড়ে দিতে চেয়েছি, আরো বিয়ে করতে চেয়েছি ইত্যাদি কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে আমার গুমের ৭ দিনে তোমার যে অবদান তার সামনে এসব নিতান্তই তুচ্ছ। এই দেশে এমন কোনো নারীর জন্মই হয়নি যে সেই সাতটি দিনে শুধু আমার জন্য, আল্লাহ্‌র দ্বীনের জন্য একাই একটা মেয়ে হয়ে পাহাড়ের মতো লড়ে গেছে, বাতাসের বেগে ছুটে গেছে।

তবে তুমি মনে রেখো আমার মা, পরিবার, আহলিয়া, মুহিব্বিন ভাইয়েরা যেভাবে আমাকে দ্বীনের পথে শক্তি জুগিয়েছে তা কেবলমাত্র খুশনাসিবদের তাক্বদিরেই নাসিব হয়। অথচ আমি নিজে মোটেই তার যোগ্য নই। আল্লাহ্‌ আমাকে যোগ্যতা দিন।’
স্ত্রী সাবিকুন নাহারকে কেউ যেন কটু কথা না বলে এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাদের কেউই ভুলেও তাকে কোনো প্রকার কটু কথা বলবেন না। একটা লাইনও না। ৫ বছর ধরে আমাকে যথেষ্ট বলে গেছেন, আমাকেই বলে যান। আমি অভ্যস্ত। আমি অভ্যস্ত রাম-বাম, সুশীল, তাগুত আর দ্বীনের দুশমন যায়ন ও মুনাফিকদের কাছে জঙ্গি, খারেজি, আর মৌলবাদী ইত্যাদি ইত্যাদি লকবে! আর আমি এটাও জানি এগুলো স্রেফ তাদের গুনাহের পাল্লাই ভারী করবে। আর আমি জানি আমি হক্ব হয়ে থাকলে এগুলো হবে আমার পরীক্ষা বা গুনাহ মাফের কারণ, আর গিবত অপবাদ আর সম্মানহানির এই প্ল্যাটফরম কাল কিয়ামাতের মাঠে লক্ষ লক্ষ নাদান, বেদ্বীন বে আখলাকদের জন্য কেবলই আফসোস ও নেকি দানের মাধ্যম! হবে এতে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই। কী জবাব দেবেন সেদিন। নিজেই বা কী জবাব দেব সেদিন? আর আজ পড়েছি ইউসুফি ইমতিহানে! রব্বিগ ফির লি। ফা সবরুন জামিল! ওয়াল্লাহুল মুস্তায়ান আলা মা তাসিফুন।’

নিজের মানহানি হয়েছে জানিয়ে ত্বহা বলেন, ‘একটু অবুঝ, অস্থির, অতিরিক্ত জেদি ও মুহাব্বতের পাগল হলেও তার ইলমি, দারসি, কিতাবি, তালিমি ও তাদরিসি যোগ্যতা এ দেশে খুব কম মেয়ের মাঝেই আছে। আমি নিজেই তার কাছে সিফাত, তাজবিদ, উর্দু ও সফর শিখেছি। ভুলে যাইনি যে বিগত ফ্যাসিস্টের আয়নাঘরের যুগে তার এই অস্থির স্বভাবই আমাদের দেশব্যাপী গণজোয়ার, আমাদের দাওয়ার প্রসার ও কোটি মানুষের জবান ও কানে আমাদের দাওয়াতগুলো পৌঁছে দিয়েছিল। বাকি পারিবারিকভাবে আমাকে দেওয়া কষ্ট ও আজকের আমার এই মানহানি ,ভুল তথ্য প্রচার এগুলোর জন্য আমি তার জন্য ক্ষমা ও উভয়ের ইসলাহের দুয়া করি। আল্লাহ্‌ পাক আমাদের ইসলাহের ওপর ইস্তিক্বমাহ নসিব করেন।’

আবু ত্বহা কয়েকটি পয়েন্টে ব্যাখ্যা করে এখন পোস্টের কথায় আসি। যা বলছি তার ওপর আরশের রবকে সাক্ষী রাখছি। আর আমরা শুধু তার কাছেই জবাব দিতে বাধ্য। অন্য কারো কাছে নয়। এর পরেও সত্য ইযহার করতেই লেখা, যেন আমাদের মুহিব্বিন ভাইয়েরা বিভ্রান্ত না হন, বাকি হেইটারসদের কোনো ইস্যুর প্রয়োজন হয় না, কারণ তারা স্রেফ তাজকিয়া বিবর্জিত ক্বলবের মারিজ! তারা অসুস্থ, মরা মাংস খেয়ে অভ্যস্ত। তাদের ক্ববর, তাদের খবর! তারা জানে না হাক্কুল ইবাদের গুনাহ কাবার গেলাফে ক্ষমা হয় না!

১। তার পেইজ হ্যাক হয়নি, হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়েছে আমার নিজের ব্যক্তিগত ফোন। আর কমন্সেন্সহীনদের বলতে হচ্ছে যে আমার অফিশিয়াল পেইজে মিসিং পোস্ট করার জন্য আমার হারিয়ে যারা ফোন ফিরে পাওয়া শর্ত নয়, এডমিন প্যানেলই যথেষ্ট। একবার চিন্তা করেছেন, হিংসা, ঘৃণা ও দুশমনি মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যায়? আর আমার ফোন এখনও পাওয়া যায় নি। সিম নাম্বার সবই অফ। এটাও কি জানাতে হবে যে অফিসের ল্যাপটপ থেকেও ফেইসবুকে পোস্ট লিখা যায়! ওয়াল্লাহি কিছু মানুষের জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে জালেম ফাসেক ও তাগুত শাসক শতভাগ উপযুক্ত, কোন আমিরুল মু,'মিনিন নয়। কেননা তারা যদি খইরুল কুরুনে জন্ম নিত, হয়ত মাক্ববুলদেরও ইজ্জত হরন করে ছাড়ত! আর ইফকেরও যে দোররা যে শারিয়াতে আছে! কাওকে জিনা ব্যাভিচার কিংবা কোন তহমত দেয়ার আগে আমাদের অন্তত ১০ বার চুপ থেকে ভাবা উচিৎ।

২। দুটি পোস্ট-ই তার নিজের করা। একটা ভুল থেকে একটা ইসলাহ থেকে। ভুলের জন্য ক্ষমা। ইসলাহের উপর অনেক অনেক দুয় । তবে যদি নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় না করা হয় তবে বিচ্ছেদ আবশ্যক হয়ে যায়। হয় দুনিয়ায় অথবা শাহাদাতে! হয় ইহকালে নাহয় পরকালে।

৩। আমাদের প্রতিষ্ঠান মানুষের টাকায় গড়া নয়, আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহর দেয়া রিজিকে গড়া। মানুষের টাকায় আমরা আহলে গাযযাকে একবেলার খাবার ও পানির চেষ্টা করি মাত্র। আর কোথায় কোন খাতে, কোন কোন ইনফাকের জায়গায় আমি কি কি কন্ট্রিবিউট করি এটা আমার আর আমার রবের বিষয়, আমি শুধু তারই কাছে প্রতিদান চাই।

তবে হ্যাঁ বিভিন্ন দীনি প্রগ্রাম ও ইভেন্টে অনেকেই অনুদান পাঠায় ঠিকই তবে সেগুলোর এক একটা হিসেব আমাদের কাছে কাগজে কলমে লিখা আছে, হ্যা কিছু দেনা আছে সেটা ইনশাআল্লাহ আমরা যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করে দেব। ইনশা আল্লাহ্‌।

৪। ওয়াল্লাহি প্রতিষ্ঠানে ফ্রি মিক্সিং এর কোনো সুযোগ নেই। এখানে যে বা যারা লেখপড়া করে তাদের অভিভাবকদের জিজ্ঞেস করাই যথেষ্ট, আর সবার জন্যেই আলাদা ব্যবস্থা আছে। সাপ্তাহিক তালিমের পর এখানে বহু মানুষ খুসুসি মাসালার জন্য আসেন, ক্ষেত্রবিশেষে কেউ যদি মাহরামসহ অফিসের কারও সাথে মিট করে থাকে সেটা কতটুকু অস্বাভাবিক ভেবে দেখা দরকার না?। আমরা অত্যন্ত কষ্ট পেয়েছি অন্তত দ্বীনের এই ছোট্ট মারকাজটা নিয়ে এমন বাজে মন্তব্য করায়। এটা নেহায়াত ভুল। এটা মিথ্যে, আর ইমারজেন্সি মিটিং ছাড়া কেউই রাত করে অফিস শেষ করিনা, স্রেফ অনুমান এ মন্দ ধারনাবসত এমন মন্তব্য করাটা ইস্যুপাগল ফাত্তানদের জন্য নেহায়েত ঘি ভাতের খোরাক হয়েছে। যেখানে আমার আহলিয়ার আপন ভাইয়েরাই মারকাজের দ্বায়িত্বশীল, অফিস ত তারাই সামলায়!

৫। অনলাইন মাদ্রাসায় যুমে ক্লাস হয়, আম দারস হয়, ছেলেরা চলে গেলে মেয়েরা পড়া দেয়, এরপরও আমরা ফিমেল উস্তাযা দিয়ে মশক করাই । এখানে ফ্রি মিক্সিংটা কোথায়? এরপরেও আমরা চেষ্টা করছি মেয়েদের পুরো অনলাইন মাদ্রাসাটাই আলাদা করে ফেলার জন্য। অন্তত এতটুকু সবর কি করা যেতনা? ঘরের কথা কি ঘরেই মানায় না? ইসলাহের চেষ্টা ত আমরাও কম করছি না, এটা ত তুমি নিজেও জান??? এটাকে আড্ডাখানা বলে কি দ্বীনের হক নষ্ট হ লোনা? ভেবে দেখ। ইন্নাল হাসানাত ইউযহিবনাস সায়্যিয়াত।

নিজের অতীত অন্ধকার ছিল এটা স্বীকার করেই আবু ত্বহা বলেন, প্রিয় আহলিয়া আমার এবার আসি তোমার করা অতীত প্রসঙ্গে, আমি তোমার অতীত নিয়ে কিছুই বলব না, কারণ সেগুলো স্রেফ অতীত। তোমার আর তোমার রবের মধ্যকার বিষয়, অতীত বহু সাহাবিরও ছিল। কিন্ত তার জন্য কেউ তাদের কখনও তাচ্ছিল্য করেননি, এটা দ্বীনের শিক্ষা নয়। সিরাতের শিক্ষা নয়। আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমি জাহেলিয়্যাতে ছিলাম , ভালো লেভেলের ক্রিকেটার ছিলাম, ইংলিশ পড়ুয়া পরিবেশের , ড্যাম গুড লিড গিটারিস্ট কাম ভোকাল ও ব্যান্ড ছিল, স্পোর্টসম্যান ছিলাম! আজকে বলেই দিলাম।

ছোট্টবেলায় বাবা বেঁচে থাকতে আমি ক্বওমি আলেমদের কাছে কুরআন ও অন্যান্য দ্বীনিয়াত শিখতাম। তার ইন্তেকালের পর জাহালাতে হারিয়ে যাই। আবার তাবলীগ দিয়ে দ্বীনে ফিরি। যা থেকে প্রায় ১৫ বছর হলো আমি আজ এখানে। তুমি যার কথা বলেছ তার নাম ভুল, এটা খুব অস্বাভাবিক না যে জেনারেল থেকে দ্বীনে ফেরা কারও জীবনে পাস্ট থাকবেনা! হ্যা আমারও ছিল। আমি পাস্ট ছেড়েই গন্তব্যে ছুটেছি। নইলে তুমি নিজেও আমার জীবনে হয়ত আসতেই না। এগুলো সুদুর অতীত। আজ তার ও আমার রাস্তা সম্পূর্ণ ভিন্ন! তার পেশায় আমার কি আসে যায়? আমি হিদায়াতের দুয়াই ত করি।

শুধু বিয়েতে বিশ্বাসী জানিয়ে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে ত্বহা বলেন, তুমি নিজেও জান যে আমি স্রেফ বিয়েতে বিশ্বাসী , তুমি নিজেই এর স্বাক্ষী! দ্বীনে ফিরে আমি দুজন নারীর দ্বায়িত্ব নিয়েছি, এগুলোর কোনটাই লাভ ম্যারেজ না। সবই অ্যারেঞ্জ। তাদের কেউই কুমারি না, নারী ইস্যু এলে আমাদেরকে সুন্নাত শেখানো দ্বীনদার পুরুষদের কজন দেখায় এমন হালাল সাহস? মুহাব্বাতের সাথে হক্ব আদায়ের হাইয়েস্ট চেষ্টা করে গেছি ,যাচ্ছিও! সেখানে স্রেফ অনুমান , কুধারনা ও কানপড়াবসত এভাবে পোস্ট দেয়া কি ঠিক হল প্রিয় উস্তাযা? তুমি নিজেও কি আমাকে চিননা? কাছ থেকে মিশে যাও নি? কলিজা থেকে বল যদি হারামই কিছু চাইতাম আমার কি অপশনের অভাব ছিল? অথচ তুমি জান আমি করলে বিয়ে করতাম, বা বিয়ের প্রস্তাব দিতাম, সেটা সারা দুনিয়াকে জানিয়েই। আর আমি একসময় সেটা দিয়েছিলামও। তখন সে সারা দেয়নি। এটাকেই তোমার সামনে চটকদার করে উপস্থাপন করা হয়েছে!

আবু ত্বহা আদনান বলেন, আর যে আলেমার কথা তুমি বলেছ সেটা আমার পরিবারের পছন্দ ছিল। যখন তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলে! এরপর কি আমি সম্পর্ক গুছিয়ে নেইনি? আর যে বিষয়টাকে লিপ্সুতা বলছ তা কতই না সক্ষম সামর্থ্যবানেরা হাজার হাজার বছর ধরে করে এসেছে। আর না আমি আমার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তোমাকে বিয়ে করেছি আর না তোমার অনুমতি ছাড়া অন্য কাওকে করেছি বা করতে চেয়েছি! দ্বীনি মেজাজের পবিত্র একটা হালাল সম্পর্ককে চলমান হারাম ও ব্যাভচারের মতো শব্দে উপস্থাপনটা কতটুকু সঠিক হয়েছিল ভেবে দেখ! ইন্নি আশকু বাসসি ও্বা হুজনি ইলাল্লাহ!

স্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আমি তোমার প্রতি ও তোমার মুহাব্বাতে সন্তুষ্ট। এর উপরেই তোমার আমার হাশর হবে ইনশাআল্লাহ। দুনিয়া ও আখিরাতে আমি তোমার যাওজ হয়েই থাকতে চাই। আর এই কথাগুলো কি চার দেয়ালেই সমাধান করা যেত না? ধরে নাও তুমি শতভাগ সঠিক , তবুও কি এটা পাবলিকলি ইসলাহের কোনো বিষয় ছিল? দিন শেষে এতে লাভ কার হলো? দ্বীনের দুশমনদের, ঘরে ও বাহিরে ঘাপটি মেরে থাকা আমার শত্রুদের, হিংসুকদের, যারা প্রতিনিয়ত সিহর আইন ও হাসাদ চালায় তাদের, ডারত ও হিস্রাইলের দালাল মুনাফিক দের, অনলাইন বায়াসড স্প্রিচুয়ালি সিক কমিউনিটির। আমি ত তাদের গিবত অপবাদ আর মরা মাংস খাওয়ার উৎসব নিয়েই চিন্তিত! আর যখন আবু লাহাব চাচা হয়ে কিছু বলবে, নুহ ও লুতের স্ত্রী রুপে কিছু বলবে, জুলাইখারা কিছু বলবে তখন আমাদের জবাবের জায়গাই বা কোথায় থাকে? জবাব দিলেই বা কি? আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহার জবাব আসমান থেকে এসেছিল।

স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসেন জানিয়ে ত্বহা বলেন, আমি গুনাহগার, আমি জবাব নয়, স্রেফ নিজের ইসলাহ ভিক্ষা চাচ্ছি। আমি জানি এতে তারা আল্লাহর দ্বীনের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারনে না, আর আমার কিছু গুনাহ মাফ হবে, কিয়ামাতে জালেমদের আমলনামা থেকে কিছু নেকি লাভের তাওফিক হাসিল হবে ইনশা আল্লাহ্‌। আমার প্রিয় উস্তাযা মুহতারামা! ওয়াল্লাহি আমি তোমাকে অসম্ভব ভালোবাসি, আগেও বাসতাম, আজও বাসি, শাহাদাত অবদি বাসব ইনশাআল্লাহ্‌। আমি তোমার সাথে কোন অন্যায় করিনি। যদি আমি হালাল কিছুও করতাম, জানিয়ে করতাম।

তিনি বলেন, কোনো কিছুর বিনিময়েও আমি তোমাকে হারাতে চাই না। আর এতকিছুর পরেও আমি তোমাকে ছেড়ে দেবনা। যতই কষ্ট দাও, আর যতই অসম্মান কর। যতই ভুল বুঝ। আর যতই আমাকে আসমান থেকে জমিনে আছাড় দাও। ঘরের কথা যেহেতু বাহিরে বলেই দিয়েছ তবে এটাও জেনে রাখো, আমি আমার প্রত্যেক আহাল পরিবার সন্তান ও সম্পর্ককে মুহাব্বাত করি। ক্ষুদ্র জায়গা থেকে চেষ্টা করি সবাইকে খুশি করার, হক্ব আদায়ের। আর তুমি বিশ্বাস আনুগত্য ও গাইরতের সাথে পাশে থাকলে আমার সব লাগবে। ৪ আহলিয়াই বল আর ৭২ হুরই বল! তুমি না থাকলে আমার সব কিছুর মাঝেও ক্বলব থাকলেও আদতে কোন রুহ বাকি থাকবে না!

আজ অবদি আমার সাথে যা যা জুলুম ও অন্যায় হয়েছে , যে বা যারাই বুঝে না বুঝে যত কষ্টই দিয়েছে আমি নিজের সাথে তাদের সবার জন্যেই ক্ষমা ও ইসলাহের দুয়া করি। মহান আল্লাহ্‌ এই ওয়াসিলায় আমাকে আমার কাংখিত শাহাদাতের মওত নাসিব করে দেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে