মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০৪:৪৮:০৫

সুবহানাল্লাহ, রজব মাসের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (স.) যে সুসংবাদ দিয়েছেন

সুবহানাল্লাহ, রজব মাসের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (স.) যে সুসংবাদ দিয়েছেন

ইসলাম ডেস্ক : বিশেষ গুরুত্ববহ পবিত্র মাস ‘রজব’। এ মাসের কথা বহু রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (স.) বলেছেন, “রজব মাস হচ্ছে মহান আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি মাস, ফজিলতের দিক থেকে কোনো মাস এর সমপর্যায়ের নয়। এ মাসে কাফেরদের সঙ্গেও যুদ্ধ করা হারাম। রজব মাস আল্লাহর মাস, শাবান মাস আমার মাস এবং রমজান মাস হচ্ছে আমার উম্মতের মাস। যে ব্যক্তি রজব মাসের একটি দিন রোজা রাখে, মহান আল্লাহ্ তার উপর সন্তুষ্ট হন, তার প্রতি মহান আল্লাহর ক্রোধ দূর হয়ে যায় এবং জাহান্নামের একটি দরজা তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়।”

হযরত মুসা ইবনে জাফর (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র রজব মাসের একটি দিন রোজা রাখে, জাহান্নামের আগুন এক বছরের জন্য তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি ৩ দিন রোজা রাখে তার উপর জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়’।

তিনি আরো বলেছেন : ‘রজব হচ্ছে বেহেশতের একটি ঝর্ণাধারার নাম; যার (পানি হচ্ছে) দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়ে মিষ্টি। যে ব্যক্তি এ মাসের একটি দিন রোজা রাখে সে অবশ্যই এ ঝর্ণাধারা হতে পানি পান করবে।

ইমাম সাদিক (আ.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, মহানবী (স.) বলেছেন : ‘রজব মাস হচ্ছে আমার উম্মতের ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনার মাস। অতএব, এ মাসে অত্যধিক ক্ষমা প্রার্থনা কর, কেননা মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল ও অত্যন্ত দয়ালু। রজব মাসকে (أصل) বলা হয়, কারণ এ মাসে আমার উম্মতের উপর আল্লাহর অত্যধিক রহমত বর্ষিত হয়, অতএব, (أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَ أَسْأَلُهُ التَّوْبَةَ) (আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আসআলুহুত তাওবাহ) –এ যিকিরটি অত্যধিক পড়।

সালেম হতে ইবনে বাবাওয়াইহ বর্ণনা করেছেন : রজব মাস শেষ হতে কয়েকদিন বাকি ছিল, আমি ইমাম সাদিক (আ.) এর সাক্ষাতে গেলাম। যখন তাঁর দৃষ্টি আমার উপর পড়লো, আমাকে জিজ্ঞেস করলেন : এ মাসে রোজা রেখেছো? আমি বললাম : না, হে আল্লাহর রাসূলের সন্তান।

তিনি বললেন : এতটা সওয়াব তোমার হাতছাড়া হয়েছে যার পরিমাণ মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেনা। নিশ্চয়ই এটা হচ্ছে মহান আল্লাহর মাস। মহান আল্লাহ্ একে অন্যান্য মাসের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন, এ মাসের মর্যাদাকে অত্যধিক বৃদ্ধি করেছেন এবং এ মাসে রোজাদারদের সম্মানিত করণকে নিজের জন্য আবশ্যক করে নিয়েছেন।

অতঃপর আমি বললাম : হে আল্লাহর রাসূল (স.), যদি আমি এ মাসের অবশিষ্ট দিনগুলিতে রোজা রাখি তবে কি ঐ সওয়াব প্রাপ্ত হব? তিনি বললেন : হে সালেম! যে ব্যক্তি এ মাসের শেষ দিনগুলির একদিন রোজা রাখে মহান আল্লাহ্ তাকে মৃত্যুপূর্ব যন্ত্রণা, মৃত্যুর পর ভয় এবং কবরের আযাব হতে নিরাপত্তা দান করেন। আর যে ব্যক্তি এ মাসের শেষের দিনগুলির দু’টিতে রোজা রাখে সে পুল সিরাত সহজেই অতিক্রম করবে। যে ব্যক্তি এ মাসের শেষ দিনগুলির ৩ দিন রোজা রাখবে সে কেয়ামত দিবসের বৃহত ভয়, সেদিনের তীব্র আতংক হতে নিরাপদ থাকবে... জেনে রাখো, রজব মাসের রোজার জন্য অত্যধিক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এমনও বর্ণিত হয়েছে যে, যদি কেউ এ মাসে রোজা রাখতে সক্ষম না হয় তবে (سُبْحَانَ الْإِلَهِ الْجَلِیلِ سُبْحَانَ مَنْ لا یَنْبَغِى التَّسْبِیحُ إِلا لَهُ سُبْحَانَ الْأَعَزِّ الْأَكْرَمِ سُبْحَانَ مَنْ لَبِسَ الْعِزََّ وَ هُوَ لَهُ أَهْلٌ) [উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহিল জালিল, সুবহানা মান লা ইয়ম্বাগীতাসবীহ ইল্লা লাহু, সুবহানাল আয়াজ্জিল আকরাম, সুবহানা মান লাইসাল ইজ্জা ওয়া হুওয়া লাহু আহলুন]–এ তসবিহ পাঠ করবে, যাতে সে রোজার সওয়াব লাভ করে।-এবিএনএ
১৯ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে