ইসলাম ডেস্ক : সালামের দ্বারা পারস্পরিক সম্প্রীতি ভালবাসা বৃদ্ধি পায়। দ্বন্দ-সংঘাত থাকলেও সামনে গিয়ে সালাম দিলে অপর ব্যক্তির মধ্যে এর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পাওয়া অভিজ্ঞতালব্ধ একটি বিষয়। শত রাগ-অভিমান থাকলেও সালাম দিলে তা প্রশমিত হবে বৈকি। আগে সালাম দেওয়া ব্যক্তির মধ্যে অহংকার না থাকর অন্যতম লক্ষণও বটে। আগে আগে সালাম দেওয়া অভ্যেস করলে অহংকার হ্রাস পেতে থাকে। এক হাদিসে জান্নাতে যাওয়ার সরল তিনটি পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে। সেই তিনটির মধ্যে অধিকহারে সালাম দেওয়া উল্লেখযোগ্য। সালাম দিলে যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ভালবাসা বৃদ্ধি পায় নবী [সা.] -এর বাণী এর প্রামাণ।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল [সা.] বলেছেন, ‘ঐ সত্তার কসম, যার কব্জায় আমার প্রাণ! তোমরা ততক্ষণ বেহেশতে যেতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা ঈমান আনবে। আর তোমরা ততক্ষণ পূর্ণ মু'মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরের সাথে মিল মহব্বত রাখবে। আর আমি কি তোমাদের এমন একটি বিষয় সম্পর্কে বলব না, যদি তোমরা তা গ্রহণ কর, তবে তোমাদের মধ্যে ভালবাসা সৃষ্টি হবে? বিষয়টি হলো, তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের আদান-প্রদান করবে। (আবু দাউদ: ৫১০৩)
ইসলাম পূর্ব যুগে মানুষের মধ্যে মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতার চিত্র ছিল ভয়াবহ। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে একে অন্যের সাথে সাক্ষাৎ করতেও ভয় পেত। নিরাপত্তা বলতে কিছুই ছিলে না। ইসলাম আগমনের পর মানুষের সেই ভয় দূরিভূত হয়েছে। ইসলাম শিক্ষা দিয়েছে, একে অপরের সাথে সাক্ষাতের সময় সালাম করবে এবং এমন একটি বাক্য ব্যবহার করবে যে ওই বাক্যই সক্ষাৎপ্রার্থীকে অভয় প্রদান করবে। তার উভয়ে উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সেই বাক্যের নামই সালাম। সালাম দেওয়া হচ্ছে সুন্নাত। সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। কিন্তু এখানে সুন্নতের মর্যাদা ওয়াজিব জবাব প্রদানের চেয়ে অধিক। কেননা সালাম দেওয়া বিনয়ের পরিচয় আর জবাব দেওয়া ওয়াজিব পালন।-প্রিয়.কম
লেখক : মুফতি রাশিদুল হক, সিনিয়র মুহাদ্দিস ও শিক্ষাসচিব, নরাইবাগ ইসলামিয়া মাদরাসা, ঢাকা।
১৯ মে, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই