সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬, ১০:৫৯:৩৯

নাজাতের দশক শুরু, জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে মুক্তি লাভের এখনই শ্রেষ্ঠ সময়

নাজাতের দশক শুরু, জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে মুক্তি লাভের এখনই শ্রেষ্ঠ সময়

ইসলাম ডেস্ক : পবিত্র রমজানের তৃতীয় ও শেষ দশক অর্থাৎ নাজাতের ১০ দিন শুরু হল আজ থেকে। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটল রহমত ও মাগফিরাতের ২০ দিনের। গত ২০ দিনের মধ্যে প্রথম দশক ছিল রহমতের এবং দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের। শেষের দশককে ইতকুম মিনাননার তথা নাজাতের দশক বলা হয়।

বিভিন্ন ইবাদতের কারণে রমজানের শেষ দশক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দশকেই রয়েছে ইতিকাফ এবং লাইলাতুল কদর। সুতরাং সার্বিক বিবেচনায় রমজানের এই শেষ দশকটি অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ, ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সেই সফল। এবং পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়। (আল ইমরান-১৮৫)

অপর দিকে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, রমজানের প্রতিটি দিবা-রাত্রিতেই আল্লাহর দরবারে অসংখ্য লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। এবং রমজানের প্রতি দিবারাত্রিতে প্রত্যেক মুসলমানের একটি দুআ কবুল হয়। (আততারগিব)

সুতরাং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এসব নেক আমল বেশি বেশি করে করতে হবে। এছাড়া গোটা রমজানজুড়েই হজরত মুহাম্মদ (সা.) চারটি কাজ অধিক হারে করার জন্য বলেছেন- ১. কালেমার জিকির, ২. ইস্তেগফার, ৩. জান্নাত চাওয়া, ৪. জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রার্থনা করা। রমজানের এই শেষ দশকেও এই চারটি কাজ অধিকহারে করতে হবে। সর্বোপরি নিজের গোনাহের জন্য কান্নাকাটি করে দোয়াও করতে হবে। কারণ আল্লাহর ভয়ে কন্দনরত মানুষের চোখের পানি আল্লাহ তাআলা বড় বেশি পছন্দ করেন।
 
হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর ভয়ে যে চোখের অশ্রু ঝরে সে চোখ জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে না। চোখ আগুনে না জ্বলার অর্থই হচ্ছে, লোকটি জাহান্নামে যাবে না। কারণ লোকটা জাহান্নামে গেল আর তার চোখ জ্বলল না- এমন তো আর হয় না। অন্তত পরকালে সেটা হবেই না।
 
এই দশকে মহান আল্লাহ তায়ালা বিশ্বের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে নাজাত দান করুন। আমীন
২৭ জুন,২০১৬/ এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে