মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০১৬, ১০:২০:৫৪

সুবহানাল্লাহ, ৮৩ বছর ৪ মাসের ইবাদতের সমান ফজিলত যে রাতে দেবেন আল্লাহ তা’য়ালা

সুবহানাল্লাহ, ৮৩ বছর ৪ মাসের ইবাদতের সমান ফজিলত যে রাতে দেবেন আল্লাহ তা’য়ালা

ইসলাম ডেস্ক : ‘লায়লাতুল কদর’ মানে হচ্ছে ‘কদর’ এর রাত।  ‘কদর’ মানে হচ্ছে মাহাত্ম্য ও সম্মান। অর্থাৎ মাহাত্ম্যপূর্ণ রাত ও সম্মানীয় রাত।  এ রাতের বিরাট মাহাত্ম্য ও অপরিসীম মর্যাদার কারণে এ রাতকে ‘লায়লাতুল কদর’ বলা হয়।

লাইলাতুল কদর আরবী শব্দ যার অর্থ হলো বরকতময়, সম্মানিত বা মহামান্বিতরাত রাত।  ফারসি ভাষায় একে শবে কদর বলা হয়।  এ রজনীতে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সারারাত নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও হাদিসের আলোকে জিকির, কবর জিয়ারত ও নিজের কৃত গুনাহের জন্য মাফ চেয়ে থাকেন।

পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদিস দ্বারা লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।  এ রজনীর গুরুত্ব সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি কোরআনকে কদরের রাতে নাজিল করেছি।  তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাস থেকেও উত্তম কল্যাণময়।’ সূরা আল্ কদর (১-৩)।

 ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম, ইমাম আহমদ ও ইমাম তিরমিজি কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কদরের রাতকে রমজানের শেষ দশ রাতের কোনো বেজোড় রাতে খোঁজ করো।’

হজরত আবু বকর (রা.), ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস থেকেও একই ধরনের তথ্য পাওয়া যায়।  অবশ্য কোনো কোনো ইসলামী মনীষী নিজস্ব ইজতিহাদ, গবেষণা, গাণিতিক বিশ্লেষণ ইত্যাদির মাধ্যমে রমজানের ২৭ তারিখের রাতে (অর্থাৎ ২৬ রোজার দিবাগত রাতে) শবে কদর হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা জোর দিয়ে বলেছেন।  

কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.) এটাকে সুনির্দিষ্ট করেননি বরং কষ্ট করে খুঁজে নিতে বলেছেন।  মহান আল্লাহ চান বান্দাহ কয়েক রাত ইবাদতে গভীর মনোনিবেশ করে এ মহামূল্যবান রাতের সন্ধান পাক।

এ পবিত্র রাতেই কোরআন নাজিল হয়েছে।  আর এ কোরআনের সাথেই মানুষের ভাগ্য জড়িয়ে আছে।  এ জন্য কদরের আরেকটি অর্থ হলো ভাগ্য।  তা হলে লাইলাতুল কদরের অর্থ হয় ভাগ্যরজনী।   

যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ঈমান সহকারে ও আল্লাহর নিকট থেকে বড় শুভফল লাভের আশায় ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে, তার পেছনের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।  (বুখারি-মুসলিম)।  এ রাতে কল্যাণ থেকে একমাত্র হতভাগ্য লোক ছাড়া আর কেউ বঞ্চিত হয় না (ইবনে মাজাহ-মিশকাত)।

মহান আল্লাহ নিজেই এ রাতের মহিমা বর্ণনায় ইরশাদ করেছেন, কদরের রাত এক হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।  অর্থাৎ কারও একনাগাড়ে এক হাজার মাস বা ৮৩ বছর ৪ মাস পর্যন্ত ইবাদত করার যে ফজিলত বা সওয়াব পাওয়া যায় তা এ এক রাতের ইবাদতের দ্বারাই মহান আল্লাহ প্রদান করে থাকেন।
সুবহানাল্লাহ।

সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম শরিফের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে (ইমানসহ) এবং সওয়াব প্রাপ্তির প্রত্যাশায় এ রাতে জেগে ইবাদত বন্দেগি করবে, তার পূর্ববর্তী জীবনের সব পাপ মোচন করে দেওয়া হবে।’ ২৮জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে