নিউজ ডেস্ক : জামালপুর জেলা প্রশাসকের অফিসে দোর্দণ্ড প্রতাপে দাপিয়ে বেড়াতেন অফিস সহকারী (পিয়ন) সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা। অফিস সহকারী সাধনা ডিসির চেয়ে বেশি ক্ষমতাধর ছিলেন! তার প্রভাব এতটাই ছিলো, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকতেন সবসময় তটস্থ। শুধু কর্মচারীরাই নন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও কোনও পাত্তাই দিতেন না এই অফিস সহকারী। চাকরি হারানোর শঙ্কায় প্রতিবাদ করতে সাহস পেতেন না কেউ।
সম্প্রতি যৌ'ন কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশের পর ওএসডি করা হয় আহমেদ কবীরকে। তারপরে থেকেই ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বের হয়ে আসছে একের পর আহমেদ কবীর-সাধনার নানা কীর্তি-কাহিনী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানান, ২০১৮ সালে উন্নয়ন মেলায় হস্তশিল্পের স্টল বরাদ্দ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সাথে দেখা করেন সাধনা। সে সময় সাধনার রূপে মুগ্ধ হয়ে বিনামূল্যে স্টল বরাদ্দ দেন ডিসি আহমেদ কবীর। পরে উন্নয়ন মেলা চলাকালে আহমেদ কবীরের সঙ্গে সখ্য আরও গভীর হয়। একপর্যায়ে সে সখ্য রূপ নেয় শা'রীরিক সম্পর্কে। সম্প্রতি সেই অ'বৈধ সম্পর্কের একটি ভিডিওচিত্র ভা'ইরাল হয়। তারপর থেকে ‘টক অব দি কান্ট্রি’তে পরিণত হন তারা।