জামালপুর থেকে : করোনা ভাইরাসের প্রাদু'র্ভাবের কারণে এরই মধ্যে দেশের সব ধরনের গণপরিবহন ব'ন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া একসঙ্গে দুই জনের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। ফলে কার্যত পুরোদেশ এখন লকডাউনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্য জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ঘটলো এক বর্বর ঘটনা।
হ'তদরিদ্র পরিবারের চৌদ্দ বছরের এক কিশোরী দলবদ্ধ ধ'র্ষণের শি'কার হয়েছে। গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বখাটে মিজানের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পেছনের মরিচক্ষেতে নিয়ে ধ'র্ষণ করেছে বলে অভিযো'গ পাওয়া গেছে। মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের চর জালালেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে তার মেয়েকে ধ'র্ষণের অভিযো'গে আজ সোমবার দুপুরে জামালপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মেলান্দহ উপজেলার টগারচর গ্রামের হাবলু মিয়ার ছেলে মিজান (২০) ও একই উপজেলার রুহিলী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রাশেদুল ইসলাম পোসনসহ (২১) অ'জ্ঞা'ত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটির প্রধান আসামি বখাটে মিজানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। ধ'র্ষণের শি'কার ওই কিশোরীকে আজ সোমবার দুপুরে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই দিন বিকেলে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান বলেন, মামলাটির প্রধান আসামি মিজানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধ'র্ষণের শি'কার ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মামলার বাদীর অভিযো'গ সূত্রে জানা গেছে, বখাটে মিজান ও রাশেদুল ইসলাম পোসন পাশের গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুজন কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে গত রবিবার রাত ৩টার দিকে পানি খাওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীর ঘরে ঢুকে তার বাবা-মায়ের সামনেই তাকে জো'রপূ'র্বক তুলে নিয়ে বাড়ির কাছেই মরিচক্ষেতে নিয়ে যায়। তারা কিশোরীকে জো'রপূর্বক ধ'র্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। সোমবার ভোররাতে তার বাবা তাকে মরিচক্ষেত থেকে উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই কিশোরী বর্তমানে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।