দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর): জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের জামিরাকান্দায় সুমন দাস নামে এক যুবক মুসলমানদের পবিত্র কাবা ঘরের ছবিতে পা উঁ'চিয়ে ছবি তুলে সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে। মহান আল্লাহকে অকথ্য ভাসায় গা'লি দেয়। এই বিষয়ে ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে বিশেষ করে আলেম উলামা এবং বিভিন্ন মাদরাসা ছাত্ররা ক্ষো'ভে ফেটে পড়ে গতকাল রাতে স্থানীয়ভাবে বি'ক্ষোভ এবং প্র'তিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল রবিবার (১০ মে) সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সুমন দাসকে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনকে দুই ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় এবং তারা বি'ক্ষোভ আ'ন্দোলন অব্যাহত রাখে। গ্রেপ্তার না করা হলে ক'ঠোর আ'ন্দোলনের হুম'কি দেয়।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে সেই গ্রামের যুবক হযরত আলী বলেন, এই ঘটনা এলাকার মুসলমানদের মনে তী'ব্র ঘৃনার সঞ্চার করে। রমজান মাসে এই ধরনের ধৃষ্টতামূলক কাজে সবাই ফুসে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল প্রথম দফা বি'ক্ষোভ করে দুই ঘণ্টার সময় দিয়ে আলটিমেটাম বেঁ'ধে দেয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া তাদের দাবি মেনে নিয়ে সবাইকে ঘরে ফিরে যাবার অনুরোধ করলে তারা চলে যায়।
অবশেষে পুলিশ আজ ফুটানি বাজার থেকে সুমন দাসকে গ্রেপ্তার করলে বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) রাকিবুল হাসান রাসেল, দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলামের উপস্থিতিতে প্রশাসনের অনুরোধে সবাই ঘরে ফিরে যায়।
এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন। অভিযুক্ত সুমন দাসকে গ্রেপ্তার করে তার নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার তাকে জামালপুর কোর্টে হাজির করা হবে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত।