শেরপুর: জামালপুর-শেরপুর-বনগাঁও (আর-৪৬০) সড়কের শিমুলতলী ও পোড়াদাহ এলাকায় বর্ষার সময় ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহের জন্য দুটি কজওয়ে (নিচু রাস্তা) নির্মাণ করা হয়। যা প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুই জেলার সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সমস্যা নিরসনে দুই কজওয়েতেই সেতু নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ দেয় সরকার। শনিবার দুপুরে সেতু দুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করতে গিয়ে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করায় কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন শেরপুর সদর-১ আসনের এমপি ও সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক।
শেরপুরের সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের তথ্যমতে, সড়ক ও জনপদ অধিদফতরের অধীনে দুটি সেতুরই নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় মোজাহার এন্টারপ্রাইজ (প্রাঃ) লিমিটেড নামের একই প্রতিষ্ঠান। ১৮ মাসের প্রকল্প মেয়াদে শিমুলতলী সেতুতে ১২৫.৪৯৭ মিটার দৈর্ঘ্যে ১৮ কোটি ৭৫৮ লাখ টাকা ও পোড়াদাহ সেতুতে ১২৫.৪৯৯ মিটার দৈর্ঘ্যে ২০ কোটি ৯২৩ লাখ টাকা প্রকল্প মূল্য ধরা হয়েছে।
কিন্তু কাজ শুরুর পর থেকেই নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার ও পুরোনো রাস্তার পাথর ব্যবহারের অভি'যোগ তোলেন স্থানীয়রা। রফতানি করা পাথর ব্যবহারের পরিবর্তে শেরপুর সীমান্তের অবৈধ পাথর ব্যবহারের অভি'যোগও রয়েছে ঠিকাদারের বিরু'দ্ধে।
শনিবার দুপুরে সেতু দুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব অভি'যোগের সত্যতা পান এমপি আতিউর রহমান আতিক। এ সময় তিনি নিজে খুঁড়ে নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের ব্যাপারে নিশ্চিত হন এবং কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।
এ সময় হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, নিম্নমানের কাজ করে বিলের টাকা তুলে নেয়ার সুযোগ নেই। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অন্যায়ভাবে সুবিধা দেয়া বন্ধ করতে সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাদের হুঁ'শিয়ারিও দেন তিনি।
হুইপ বলেন, সড়ক ও জনপথের স্থানীয় কর্মকর্তারা অবৈধ সুবিধা দিয়ে ঠিকাদারদের এসব কাজ করাচ্ছেন। এখানে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই নতুন কাঁচামাল না আসা পর্যন্ত সকল নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে হবে।
শেরপুর সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, যেসব কাঁচামালের ব্যাপারে অভি'যোগ পাওয়া গেছে সেগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রকল্পে উল্লেখ করা কাঁচামাল সরবরাহের পর আবার কাজ শুরুর ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।