জয়পুরহাট থেকে : 'আপনারা কি নিজে স্ত্রীর মাথায় সিঁদুর পড়াতে চান। যদি সিঁদুর পড়াতে চান তাহলে নৌকায় ভোট দেন’। ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন আবু জাফর নামের জামায়াতের মাঠ পর্যায়ের এক নেতা।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হায়দার আলী। যিনি জয়পুরহাট জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের চাচা। পথসভা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে ভাদসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হায়দার আলীর পক্ষ থেকে পথসভার আয়োজন করা হয়। সভায় হায়দার আলীর ‘ঘোড়া মার্কা’ প্রতীকে ভোট চেয়ে বক্তব্য দেন তার পক্ষের নেতাকর্মীরা।
সেখানে জামায়াতের স্থানীয় নেতা ভাদসা ইউনিয়নের মালইপুর গ্রামের আবু জাফর এবং ছিট দিওর গ্রামের আবুল কালাম সোনার নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য রাখেন। আবুল কালাম বলেন, এই নৌকা প্রতীক আমাদের অসংখ্য মানুষকে নিঃশ্বেস করে বাড়ি ফিরে দিয়েছেন। যারা আজকে ভাবছেন তারা জানেন এই নৌকা প্রতীক অসংখ্য মানুষকে শেষ করে দিয়েছে। যে নেত্রীর পেছনে কোটি কোটি মানুষ সেই নেত্রীর চিকিৎসা হতে দিচ্ছে না এই নৌকার প্রতীক।
পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফারুক হোসেন, মাছুদ হোসেন, সাজেদুর রহমান রেজা প্রমূখ। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন আ’লীগ নেতা জাকির হোসেনের অপর চাচা ভাদসা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি হুমায়ন রেজা। বিদ্রোহী প্রার্থী হায়দার আলীর পথসভায় জাময়াত নেতাদের দেওয়া এমন বক্তব্য শোনার পর আ’লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর বলেন, ‘আ’লীগের ১৪ বছরের শাসনামলে কাউকে সিঁদুর পড়তে হয়নি। অথচ ভাদসা ইউপি নির্বাচনে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পথসভায় প্রকাশ্যে মাইকে আ’লীগ সম্পর্কে এত বড় অপপ্রচার কখনও মেনে নেওয়া যায় না।
সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেওয়ার জন্য সরকার বিরোধী চক্রের এমন অপতৎপরতা বন্ধে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মদ ভুঞা বলেন, ‘ভাদসা ইউনিয়নে নির্বাচনী পথসভায় দেওয়া বক্তব্যের বিষয়টি তদন্ত করে শক্তভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’