 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
জামালপুর : দেশের বিভিন্ন জেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের কথা জানা গেলেও এবার ঘটেছে তার ব্যতিক্রম। অধিকার ফিরে পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন স্ত্রী রিদিকা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূ। এজন্য তাকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের হাতে দফায় দফায় মারপিটের শিকার হতে হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের বকশীগঞ্জে। রোববার দিনভর বকশীগঞ্জ উপজেলা নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে স্বমী বধু মিয়ার বাড়িতে দু'সন্তানকে নিয়ে অনশন করেন রিদিকা বেগম।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় এক যুগ আগে উপজেলার নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে বধু মিয়ার সঙ্গে শ্রীবরদী উপজেলার তাঁতীহাটি ইউনিয়নের সাটকাটা গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে রিদিকার বিয়ে হয়।
তারা জানান, বিয়ের এক যুগ পর আগে শ্বশুর নূর ইসলাম ও স্বামী বধু মিয়া স্ত্রী রিদিকা বেগমকে যৌতুকের জন্য মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। নিযার্তন সহ্য করতে না পেরে রিদিকা বেগম বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
রোববার সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ রিদিকা তার দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়িতে হাজির হন। তবে বধু মিয়া তাকে জানিয়ে দেন, সে এখন আর তার স্ত্রী নেই। তাকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেয়া হয়েছে।
এ সময় রিদিকা বেগম তালাকনামার কাগজ দেখতে চাইলে বধু মিয়া তাকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেন। তিনি বাড়ি থেকে না যাওয়ায় দেবর রোকন মিয়া ও তার স্ত্রী বাসনা বেগম, রিপন মিয়া ও শান্তি বেগম তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিদিকা বেগম।
সন্ধ্যা পর্যন্ত রিদিকা বেগম অনশন অব্যাহত রেখেছেন বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, রিদিকা বেগমের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  এখন পর্যন্ত কেউ অবহিত করেনি।
২৪ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম