এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জামালপুরের মেলান্দহে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন জাকির হোসেন জেকে (৩৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা।
গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) উপজেলার চরবানীপাকিয়া ইউনিয়নের রান্ধুণীগাছা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এলাকাবাসী ও জাকির হোসেনের স্ত্রীর দাবি, ভাইরাল হওয়ার জন্য তিনি এমনটা করেছেন।
জাকির হোসেন জেকের বাড়ি রান্ধুণীগাছা এলাকায়। তিনি ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক। জানা গেছে, জাকির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে টিকটকে ভিডিও বানান। সেগুলো তার ফেসবুক আইডিতেও আপলোড করেন।
গত ৫ ডিসেম্বর জাকির হোসেন তার বাড়ির পাশের মসজিদের মাইকে নিজের নাম পরিচয় বলে তার বউকে তালাক দেন। পরে তিনি মাইকে তালাক দেওয়ার ঘটনাটির টিকটক ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনা হলে তিনি সামাজিক মাধ্যম থেকে ভিডিওটি সরিয়ে নেন।
স্থানীয়রা বলেন, জাকির হোসেন কোনো কাজ করেন না। এলাকায় ঘুরেঘুরে গান ও ভিডিও ফেসবুকে ছাড়েন। ভাইরাল হতেই তিনি মসজিদের মাইকে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তাছাড়া বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। কিছুদিন পরপর তাদের স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে মারামারি হতো।
জাকির হোসেনের স্ত্রী শিখা বেগম বলেন, জাকির মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমাকে তালাক দিয়েছেন। তালাক দেওয়ার পর তা ভিডিও করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছেড়ে দেন।
আমি তালাকের কোনো কাগজপত্র পায়নি। আমার বিয়ের আগে সে আরও চার বিয়ে করেছে। ভাইরাল হওয়ার জন্য মসজিদের মাইকে তালাক দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি তার বিচার চাই। এ সময় তিনি দাবি করেন, জাকির হোসেন জেকে মা'দক ও নারী ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে জাকির হোসেন জেকে বলেন, আমার বউকে আমি তালাক দিয়েছি, সে আমার সংসার করে না। বিয়ের ১০ বছর হলেও আমার বাড়িতে এক বছরও সংসার করেনি। তাই তাকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তালাক দিয়েছি। কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিয়েছি দু-একদিনের মধ্যে সে কাগজ পাবে।-ঢাকা পোস্ট