জানা গেছে, সোমবার প্রভাতী শিফ্ট দ্বিতীয় পিরিয়ডে পঞ্চম শ্রেণিতে পাঠদানের সময় ‘ভূমিকম্প কি আল্লাহর গজব কিনা’ শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সুপ্রিয় দে খাঁ বলেন, গজব-টজব কিছু না। ভূমিকম্প হতেই পারে। আল্লাহ, ঈশ্বর ও ভগবান বলতে কিছু নেই। নবী বলতেও কেউ নেই। কোরআন মিথ্যা। শিক্ষকের এমন মন্তব্যে খুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে ওই শিক্ষকের সামনে কিছু বলতে সাহস পায়নি তারা।
পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তারকে বিষয়টি জানায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। সব ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগায় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন মহলে তীব্র ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
কটূক্তিকারী ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ সৈয়দ ইউনুছ আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামালসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার মঙ্গলবার চারু ও কারুকলা শিক্ষক সুপ্রিয় দে খাঁ-কে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন। নোটিসে তার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তার ব্যাখ্যা দিয়ে পত্র প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার জানান, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি শুনে সুপ্রিয় দে-কে ডেকে পাঠালে তিনি ওই মন্তব্য সম্পর্কে অনুতপ্ত হয়ে কান ধরে ক্ষমা চান। আর কখনো ধর্মীয় বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলেও জানান।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান বলেন, বিষয়টি শুনে আমি স্কুলে গিয়েছিলাম। কটূক্তিকারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
৫ মে, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম