এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জামালপুরের মেলান্দহে শ্যামলী আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূ তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফুটফুটে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
জন্ম নেওয়া তিন নবজাতকের স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন ও বয়স কম হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। তাদের ওজন ৯০০ গ্রাম, ৮৭৫ গ্রাম ও ৭৫০ গ্রাম। এতে খুশির মাঝেও দুশ্চিন্তায় রয়েছে পরিবার।
শ্যামলী আক্তার উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের মালঞ্চ এলাকার শফিকের স্ত্রী। এ দম্পতির আগে কোনো সন্তান নেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ শ্যামলী আক্তারের গর্ভের সন্তানদের সাত মাস চলছিল। আজ শনিবার সকালে হালকা ব্যাথা নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে এসে ব্যথা বাড়লে পরীক্ষা করে সন্তান প্রসবের ব্যাথা উঠেছে বলে জানায় নার্সরা।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন গৃহবধূ। পরে সিনিয়র নার্স রাশেদা আক্তার ও অন্য নার্সদের তত্ত্বাবধানে দুপুর ১টার দিকে নরমাল ডেলিভারিতে তিন ছেলে নবজাতকের জন্ম হয়। এতে মা সুস্থ থাকলেও সন্তানদের বয়স ও ওজন কম হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। পরে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত গাইনি চিকিৎসক সানজিদা তাবাসসুমের পরামর্শে তিন অপরিপক্ক নবজাতক ময়মনসিংহ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে।
গৃহবধূর বড় বোন সপ্না আক্তার বলেন, গতকাল রাত থেকে শ্যামলীর শরীর খারাপ ছিল। ওর গর্ভকালীন সময়ের সাত মাস চলছিল। আমরা আগে থেকেই ৩ সন্তানের কথা জানতাম। সকালে হাসপাতালে চেকআপ করাতে আসলে ব্যথা বেড়ে যায়। পরে নার্সরা দেখে নরমাল ডেলিভারিতে তিন ছেলে সন্তান প্রসব করান। শ্যামলী সুস্থ থাকলেও বয়স কম হওয়ায় ৩ ছেলের ওজন কম হয়েছে। পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। আল্লাহ ভালো জানেন সন্তানগুলো বাঁচবে কি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স রাশেদা আক্তার বলেন, ‘সকালে নবজাতকের মা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাসপাতালে আছে। পরে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখি। রিপোর্টে উল্লেখ ছিল ওই নারীর গর্ভে তিন বাচ্চা। পরে আমরা পরীক্ষা করে দেখি বাচ্চা প্রসবের ব্যথা উঠেছে তার।
এমন অবস্থা ছিল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাচ্চা প্রসব হবে। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক সানজিদা তাবাসসুম ম্যাডামের পরামর্শে স্বাভাবিকভাবেই তিন নবজাতকের জন্ম হয়। মা সুস্থ থাকলেও তিন নবজাতকের স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন ছিল অনেকটাই কম। তিন নবজাতককে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’