বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৫০:৪৫

আজ সাবেক এমপি সাখাওয়াতসহ ৮ যুদ্ধাপরাধীর রায়

আজ সাবেক এমপি সাখাওয়াতসহ ৮ যুদ্ধাপরাধীর রায়

নিউজ ডেস্ক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা এবং বর্তমান যশোর-৬ কেশবপুরের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনসহ আটজনের রায় জানা যাবে আজ। বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজ এ রায় ঘোষণা করবেন। প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে গত ১৪ই জুলাই এই মামলার রায় যে কোনোদিন রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে তা অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

জাতীয় পার্টির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনসহ মামলার আট আসামি হলেন- বিল্লাল হোসেন বিশ্বাস, ইব্রাহিম হোসাইন, শেখ মো. মজিবুর রহমান, এমএ আজিজ সরদার, আব্দুল আজিজ সরদার, কাজী ওহিদুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক। আসামিদের মধ্যে সাখাওয়াত ও বিল্লাল কারাগারে রয়েছেন। বাকি ছয়জনকে পলাতক দেখিয়ে মামলার বিচারকাজ শেষ হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, নির্যাতন, অপহরণসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ মামলার আরেক আসামি মো. লুৎফর মোড়ল কারাবন্দি থাকাবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। গত বছরের ২৩শে ডিসেম্বর আসামিদের অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে একই বছরের ৮ই সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছরের ৩১শে জানুয়ারি প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ও আসামিদের বিরুদ্ধে ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়। আসামিপক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিল না। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজার (মৃত্যুদণ্ড) আরজি জানান। অন্যদিকে সাখাওয়াতের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান। তারা আসামিদের অব্যাহতির আর্জি জানান। প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২৬শে নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ২৯শে নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সাখাওয়াত হোসেনের বাবার নাম ওমর আলী, গ্রাম হিজলডাঙ্গা, থানা কেশবপুর, জেলা যশোর। তিনি যশোর-৬ কেশবপুর থেকে নির্বাচিত সাবেক সাংসদ ছিলেন। ২০০১ সালে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে অল্প ভোটের ব্যবধানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেকের কাছে পরাজিত হন। প্রথমে জামায়াত ইসলামী, এরপর স্বতন্ত্র এবং সর্বশেষ জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ২০০৮ সালে মহাজোটের হয়ে নির্বাচন করতে চাইলেও মহাজোট অধ্যক্ষ শেখ আবদুল ওহাবকে ওই আসনে প্রার্থী করে।

১০ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস‌‌‌‌

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে