নিউজ ডেস্ক : এক মাস ধরে পিছু পিছু ঘোরার পর ভারতীয় বুনো হাতিটিকে ধরার প্রাথমিক প্রক্রিয়ায় এটিকে অচেতন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর কামরাবাদ ইউনিয়নের কয়রা গ্রামে ট্রাংকুলাইজার বন্দুক থেকে ডার্ট ছুড়ে হাতিটিকে অচতন করা হয় বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তারা।
অচেতন হাতটিকে এখন নিরাপদ জায়গায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বন অধিদপ্তরের সাবেক উপ প্রধান বন সংরক্ষক (অবসরোত্তর ছুটিতে থাকা) তপন কুমার দে’র নেতৃত্বে বন বিভাগের উদ্ধারকারী দল সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী, প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
উদ্ধার কাজে থাকা ভেটেরিনারি সার্জন সৈয়দ হোসেন বলেন, “বেলা আড়াইটার দিকে আমরা হাতিটিকে কিছুটা শুকনো জায়গায় পেয়েই চেতনানাশক ডার্ট দিয়ে ট্রাংকুলাইজার বন্দুক থেকে শুট করি। কিছু এলাকা ঘুরে কয়রা গ্রামে এসে হাতিটি এখন অচেতন হয়ে পড়েছে।”
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, কামরাবাদ ইউনিয়নের একটি নদীর পাড়েই হাতিটিকে ডার্ট ছোড়া হয়। এরপর হাতিটি প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা ঘুরে কয়রা গ্রামের একটি ডোবায় পড়ে। স্থানীয়দের সহায়তায় রশি দিয়ে টেনে ডাঙ্গায় তোলা হচ্ছে হাতিটিকে।
বানের জলে ভেসে গত ২৬ জুন আসাম হয়ে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে আসে ভারতীয় বুনো হাতিটি। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে নদী ও স্থল পথ মিলিয়ে চার জেলায় কয়েকশ’ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে জামালপুরে অবস্থান নিয়েছিল এটি।
হাতিটি উদ্ধারে আসা ভারতীয় প্রতিনিধি দল বিফল হয়ে ফিরে যাওয়ার দুদিন পর বাংলাদেশি উদ্ধারকারীরা সফল হল।
বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাতিটি উদ্ধারের পর নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশের কোনো সাফারি পার্কে। পরে গারো পাহাড়ের বনে ছেড়ে দেওয়া হবে, যাতে ভারত থেকে আসা হাতির পালের সঙ্গে এটি চাইলে যেতে পারে।
১১ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম