বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৬, ০৬:৫২:৩১

অবশেষে ফেসবুকের সেই স্ট্যাটাস নিয়ে মুখ খুললেন পাপিয়া

অবশেষে ফেসবুকের সেই স্ট্যাটাস নিয়ে মুখ খুললেন পাপিয়া

নিউজ ডেস্ক : বিএনপির ঘোষিত কমিটির সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া দাবি করেছেন, তার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। তার নামে ব্যবহৃত আইডি থেকে বিএনপিকে ‘সার্কাস পার্টি’ আখ্যা দিয়ে ঘুরে বেড়ানো খবর মিথ্যা। তিনি বলেন,আমার কোনো ফেসবুক আইডিই নেই। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে মনগড়া স্ট্যাটাস দিচ্ছে। ওই স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে কিছু কিছু গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করছে।

নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর পাপিয়ার নামে প্রকাশিত ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া স্ট্যাটাসে বিএনপির নতুন কমিটির নিন্দা করা হয়েছে। পাপিয়ার এই স্ট্যাটাসটি সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এর পরই ফেসবুকের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেন নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট পাপিয়া আশরাফী।

এই খবরকে ভিত্তিহীন দাবি করে আজ বৃহস্পতিবার দুপরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীর সমিতি ভবনে ল রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পাপিয়া জানান, ‘আমার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। আমার নামে ভুয়া আইডি খুলে বিএনপিকে নিয়ে এই স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে।’

সবশেষ ১১ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে পাপিয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাসের কথা উল্লেখ করে, ‘বিএনপি কী সত্যিই ‘সার্কাস পার্টি’?’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশনে এই স্ট্যাটাস ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।   

অ্যাডভোকেট পাপিয়া বলেন, ‘ওই ভুয়া ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে যে, আমি বিএনপিকে সার্কাসের দল হিসেবে উল্লেখ করেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোনো পদ-পদবীর জন্য আমি রাজনীতি করি না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যেখানে উপযুক্ত মনে করেছেন সেখানেই আমাকে রেখেছেন। আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অতীতে যেভাবে দল করেছি আগামীতেও ঠিক সেভাবে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটি নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। তাই বিএনপি থেকে পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। সার্বিকভাবে আমাকে হেয় করতেই আমার অগোচরে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে। এ ধরনের অপপ্রচার চলতে থাকলে আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে।’

'সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া'র নামে ব্যবহার করা ফেসবুক আইডিতে দেয়া সেই স্ট্যাটাসটি এমটিনিউজ২৪-এর পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলাে:-

"সৎ, যোগ্য, পরীক্ষিত, ঈমানদার ,বিশ্বস্ত ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের শূন্যতা আজ শহীদ জিয়ার হাতে গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সার্কাস পার্টিতে পরিণত করেছে ।। আপোষহীন নেত্রী ও নিকটতম ভবিষ্যত রাষ্ট্রনায়ক জননেতা তারেক রহমানকে মাইনাস টু পরিকল্পনার অংশ মাত্র ।। তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে গত ছাব্বিশ বছর জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিঃশেষ করেছেন ।। নেত্রীকে নিরাপত্তার অজুহাতে গুলশানে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ।। শহীদ জিয়ার অন্যতম মূলমন্ত্র জনগণ ই সকল ক্ষমতার উৎস ।। অথচ নেত্রীকে জনবিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে ।। মনে রাখা দরকার শহীদ জিয়ার পরিবার ব্যতীত কেউ যেন দলকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে না করেন ।। এরশাদ বিরোধী আনদোলনে জনগণ মনে করতো ছাত্রদল তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছাড়া কেউ উৎখাত করতে পারবে না ।। তৎকালীন ছাত্রদল জনগণের বুকে এই বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল ।। হাজার হাজার সহযোদ্ধাদের বুকের রক্ত ও চোখের জল দিয়ে আপোষহীন নেত্রীকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছিল ।। এরই ফল ডাকসু বিজয় এবং এরশাদ উৎখাত ।। আজ আশঙ্কা সর্বত্র বিএনপি পারবে না ।। আপোষহীন নেত্রী আপনাকে বিনয়ের সহিত বলছি কর্মী ও সমর্থকরা যদি আল্লাহ না করুন মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে দল ও দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে ।। আজ দল মোনাফেক বেঈমান চাটুকার তেলবাজ মীরজাফর দিয়ে ভর্তি ।। প্রতিপক্ষ শহীদ জিয়ার সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে কখনও প্রশ্ন করেননি ।। আজ আমার দেশকে চারটি ক্ষমতাধর বিশ্বের নিকট কাবিননামা করেছে ।। আপোষহীন নেত্রীর উপদেষ্টার অভাব নেই ।। গতকাল 73 জন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন।। নিয়োগ বললাম এ কারণে নিকট অতীতে ঈদের পর নয়াপলটন দলীয় অফিস খুলেছে ।। সবাই এসে তৃতীয় তলায় রিজভী ভাইকে খুঁজছে হন্যে হয়ে ।। আমি সালাম দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম আপনারা কাকে খুঁজছেন?? জবাব মিললো রিজভী ভাইয়ের ।। সময়টা বিকেল পাঁচটা ।। আমি বললাম উনি তো নেই ।। বেরিয়ে গেছেন ।। অনেকে বলে ফেললেন চাকরি তো নেই ।। যাই হোক প্রসঙ্গে আসি ।। আমাদের দেশ ইজারা দেবে ।। অথচ আপোষহীন নেত্রী এর বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনও বক্তব্য রাখেননি ।। আমরা বাকরুদ্ধ ।। নেত্রী তো গণভোট চাইতে পারতেন ।। জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে দূর্বার আপোষহীন আনদোলন গড়ে তুলতে পারতেন ।। জংগীবাদের আড়ালে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে ।। আমাদের দেশের সন্তানরা যাতে ভারতে শিক্ষার জন্য আবার যাতায়াত করে এটাই মূল উদ্দেশ্য ।। অথচ আমাদের দেশে এখন উচ্চ শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রচুর ।। কিন্তু আমাদের তথাকথিত রাজনীতি বিদরা আপোষহীন নেত্রীর কাঁধে বন্দুক রেখে দলের ভিতরে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।।"
১১ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে