ঢাকা : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ হামলার আসল নায়কের ছবি পাওয়ার দাবি করেছে পুলিশ। তার সাংগঠনিক নাম মারজান বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তার প্রকৃত নাম এটা কি-না তা নিশ্চিত নয় বাহিনীটি।
শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম মূল পরিকল্পকারীর কথা জানান। তিনি বলেন, মারজান হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলাকারীদের অনুপ্রাণিত করতে সে সময় গুলশানেই ছিলেন।
গত ১ জুলাই গুলশান-২ এ হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা, এ পাঁচজনের আরো বেশ কয়েকজন সহযোগী ছিল।
এর আগে গুলশান হামলার মূলহোতা বা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তামিম চৌধুরীর নাম জানিয়েছিল পুলিশ। বাহিনীটির দাবি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশে কথিত আইএস প্রধান হিসেবে নাম আসা এ ব্যক্তি আসলে নিউ জেএমবির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
আর বিদ্রোহচেষ্টার অভিযোগে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা জিয়াউল হকও এ চক্রে যোগ দিয়েছেন। এ দুজনকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে পুলিশ। এ দুজন এখনো ঢাকাতেই আছে বলে ধারণা করছেন মনিরুল ইসলাম।
তবে হামলার প্রায় দেড় মাস পর মনিরুল ইসলাম জানান, গুলশান হামলার আরেক মাস্টারমাইন্ড মারজান। তবে এটা তার সাংগঠনিক নাম। তার প্রকৃত নাম এখনো জানা যায়নি।
মারজান তামিম চৌধুরীর পরের সারির নেতা বলেও জানান মনিরুল ইসলাম।
মারজান সম্পর্কে কীভাবে জেনেছেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশানের ঘটনার দিন জঙ্গিরা ভেতর থেকে বাইরে যে ছবি ও ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল তা মারজান নামের এক তরুণ ছড়িয়ে দেয় এটা নিশ্চিত হয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, সে ঢাকায় অবস্থান করছে। সে শিক্ষিত ছেলে বলে মনে হয়েছে। তার একটি ছবি গোয়েন্দাদের কব্জায়।
১২ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম