নিউজ ডেস্ক: কল্যাণপুরে ৯ জঙ্গি নিহত হওয়ার পর জঙ্গি সংকট দেখা দেয়। এ সংকট মেটাতে উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গি আমদানি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অভিযানে পাঁচজনকে আটক করা হয়। আটকদের সঙ্গে আরও চারজনের যোগ দেওয়ার কথা ছিল।
কল্যাণপুরে বিস্ফোরকসহ ৫ জঙ্গি আটকের পর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের প্রধান (সিটি) মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড় থেকে বিস্ফোরক ও ডেটোনেটরসহ 'নিউ জেএমবি'র পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। তারা হলেন, আতিকুর রহমান, আব্দুল করিম, আবুল কালাম আাজাদ, মতিউর রহমান ও শাহিনুর রহমান।
মনিরুল ইসলাম জানান, আতিকুর রহমান নব্য জেএমবির উচ্চপদে রয়েছেন। বাকিরা সবাই সদস্য। এদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করতে ঢাকায় আনা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে। আটকদের কাছ থেকে ২৫টি ডেটোনেটর, ৮৭৫ গ্রাম জেল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার আরেক পরিকল্পনাকারী শনাক্ত হয়েছে। তার নাম মারজান (সাংগঠনিক নাম)। তিনি বাংলাদেশি। গুলশান হামলার ছবি তার আইডি থেকে পাঠানো হয়।
মনিরুল ইসলাম জানান, তাদের ধারনা রাজধানীর গুলশান, কল্যাণপুর ও শোলাকিয়া হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম চৌধুরী ও ব্লগার হত্যায় সন্দেহভাজন চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হক ঢাকাতেই আছেন।
১৩ আগস্ট,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আ শি/এএস