নিউজ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের দ্বিতীয় জানাজা দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে জানাজা শেষে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ। এর আগে ঢাকার বনশ্রী জামে মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। দলীয় পতাকা দিয়ে তার কফিন ঢেকে দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
এ সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
এছাড়াও খায়রুল কবির খোকন, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মিজানুর রহমান মিনু, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলসহ বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ফজলুর রহমান পটলের মরদেহ দেখতে তার বনশ্রীর বাসায় যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শনিবার রাত সাড়ে এগারটায় পটলের রাজধানীর বনশ্রীর (রোড নম্বর-০১, ব্লক-এফ, বাসা নম্বর-০২) বাসায় যান তিনি।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসসহ বিএনপির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজায় ফজলুর রহমানের তৃতীয় জানাজা শেষে পরে সড়ক পথে মরহুমের কফিন নিয়ে যাওয়া হবে নাটোরে। সেখানে তার নিজ গ্রাম গৌরীপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলকাতার রবীন্দ্রনাথ কিডনী হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন ফজলুর রহমান। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ পৌঁছায়।
মরহুম ফজলুর রহমান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গত ১৬ এপ্রিল থেকে কলকাতার রবীন্দ্রনাথ কিডনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি ডায়বেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা গত বিএনপি সরকারের শাসনামলের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। নতুন কমিটির ৬ নম্বর উপদেষ্টা তিনি। তার স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে রয়েছেন।
ফজলুর রহমান নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসন থেকে তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন।
১৪ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম