ঢাকা : নবগঠিত স্থায়ী কমিটি, উপদেষ্টা কাউন্সিল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ নিয়ে সোমবার বিকেলে শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মরহুম নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন তারা। নতুন এ কমিটি দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শ্রদ্ধা নিবেদনের এ অনুষ্ঠানে ব্যাপক শো ডাউন হয়েছে। দুপুরের পর থেকে মহানগরের বিভিন্ন থানা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী স্লোগান নিয়ে জিয়ার মাজারে ভিড় করেন।
বিকেল ৪টার আগেই মাজার প্রাঙ্গণ কানায় কানায় ভড়ে যায়। সোয়া ৫টার দিকে খালেদা জিয়া এসে পৌঁছলে নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে ফেটে পড়েন।
কর্মীদের ভিড় ডিঙিয়ে চেয়ারপারসনকে মাজারে নিয়ে যেতে নিরাপত্তা কর্মীদের বেগ পেতে হয়। মাজার প্রাঙ্গণের দেয়ালে বিশাল আকারের জাতীয় পতাকা ও বিএনপির পতাকা টাঙানো হয়।
শ্রদ্ধা অর্পণ শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, নতুন কমিটি শপথ নিয়েছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
২১ আগস্টের ঘটনাবলীর সঙ্গে বিএনপি জড়িত বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যারা একসময়ে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করেছে, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছে, তারা আজকে সম্পূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, তারা এখানে কোনো হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার করেনি। এ কারণে আজ হত্যাকান্ড বেড়ে গেছে। ক্রসফায়ার ও গান ব্যাটেলের কথা বলে কোনো বিচার ছাড়াই মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। ঠিক একইভাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে জড়িত করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মামলায় তিনটি চার্জশিটের তারেক রহমানকে তার নাম দেয়া হয়নি। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমানের নাম যুক্ত করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।
তিনি বলেন, আমরা চাই- এ মামলায় সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিদ্যুৎ আমাদের দরকার। তবে সেটা অবশ্যই আমার সুন্দরবনে বাদ দিয়ে করতে হবে, সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।
পুষ্পার্ঘ অর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, আসম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, রুহুল আলম চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, জেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লুৎফুর রহমান খান আজাদ, আমানউল্লাহ আমান, আ ন হ আখতার হোসেইন, জয়নুল আবদিন ফারুক, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, অধ্যাপিকা তাজমেরী ইসলাম, কাজী আসাদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজমুল হক নান্নু, আফরোজা খান রীতা, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, শরিফুল আলম, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শিরিন সুলতানা, আজিজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. মোর্শেদ হাসান খান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
২২ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম