নিউজ ডেস্ক : ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার মামলায় গ্রেফতার বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে তাকে নতুন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেনি পুলিশ।
হাসনাত করিমের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলে আদালত আগামী বুধবার জামিনের শুনানির দিন ধার্য করেন।
গুলশান হামলায় হাসনাত করিমই প্রথম ব্যক্তি যাকে আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরপর তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির হাসনাত করিমকে গুলশান থানার ১(৭) ১৬ নম্বর মামলায় আটদিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি সদ্য ধৃত। আসামির কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা এখন যাচাই-বাছাই চলছে। এ মুহূর্তে জামিন পেলে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আসামিকে কারাগারে আটক রাখা আবশ্যক।
অপরদিকে হাসনাত করিমের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব জামিন শুনানির জন্য ২৪ আগস্ট দিন নির্ধারণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
হাসনাত করিমকে গত ১৩ অাগস্ট এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর পর ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে নেয় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বলেন, রিমান্ডে হাসনাত করিমের কাছ থেকে গুলশান হামলা সম্পর্কে নানা তথ্য পেয়েছেন তারা এবং সেসব তথ্যের এখন যাচাই-বাছাই চলছে।
এর আগে তাকে যখন গ্রেফতার দেখানো হয় তখন পুলিশ জানিয়েছিল যে গুলশান হামলায় হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ তারা পেয়েছে।
এ মুহূর্তে আর রিমান্ডের আবেদন না করলেও পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে পুলিশ পুনরায় রিমান্ডের জন্য আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে হাসনাত করিমের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তার জামিনের জন্য তারা আদালতে আবেদন করেছেন।
হাসনাত করিমের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বলেছেন যে, তারা জামিন আবেদনে দাবি করেছেন, হাসনাত করিম একজন শিল্পপতি এবং তার সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে তিনি এ হামলায় জড়িত থাকার কথা নয়।
আইনজীবীরা দাবি করেন, হাসনাত করিম হৃদরোগে আক্রান্ত। সেইসাথে তারা একজন মার্কিন বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সপার্ট বা শরীরের ভাষা বিশেষজ্ঞের একটি মতামতও জমা দিয়েছেন, যাতে মূলত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে হাসনাত করিমের সাথে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে- তার একটি ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, তাদের মতে এসব ছবির দ্বারা হাসনাত করিমের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায় না।
এর বাইরে সন্ত্রাসী হামলার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পুলিশ তামিম চৌধুরী নামে কানাডীয়-বাংলাদেশি একজন এবং নুরুল ইসলাম মারজান নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রের নাম এবং ছবি প্রকাশ করেছে। তাদের বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
২২ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম