নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আনোয়ারায় একটি একটি সার কারখানা থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় মানুষের মাঝে এখনো আতঙ্ক রয়েছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ,অ্যামোনিয়া গ্যাস নিয়ে আতঙ্কের কোন কারণ নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড: তাপস দেবনাথ জানিয়েছেন, বাতাসে অ্যামোনিয়া গ্যাসের অস্তিত্ব দীর্ঘস্থায়ী হয়না।
দেবনাথ বলেন কোন ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে যদি খুব বেশি পরিমাণে অ্যামোনিয়া গ্যাস শরীরের ভেতরে প্রবেশ না করে তাহলে জীবন নিয়ে কোন ঝুঁকি থাকেনা।
অ্যামোনিয়া গ্যাস বাতাসে কতক্ষণ ভাসবে সেটি নীর্ভর করে জলীয় বাস্পের পরিমাণের উপর। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি হলে অ্যামোনিয়া গ্যাস দ্রুত মাটিতে নেমে আসে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দেবনাথ বলেন, “যে কোন জিনিস বেশি গ্রহণ করাটা খারাপ। কেউ যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ১০০% অক্সিজেন গ্রহণ করে সেটাও খারাপ।অ্যামোনিয়া গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারী। সেজন্য এটা দ্রুত মাটিতে নেমে আসে।”
অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে সে জায়গায় বেশি পরিমাণে পানি দিলে এই গ্যাস দ্রুত বিলীন হয়ে যায় বলে দেবনাথ উল্লেখ করেন।
গত রাতে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর পারে অবস্থিত ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট নামের কারখানা থেকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে ৪০ জনকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। -বিবিসি
২৩ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম