রাজীব নূর : সুফিয়া আত্মহত্যা করার বছর বিশেক পর আত্মহত্যা করলেন তার বড় বোন পারুল। পারুলের আত্মহত্যার পর কেটে গেছে প্রায় বিশ বছর। এত বছরের ব্যবধানেও অস্বাভাবিক মৃত্যু দুটির ঘটনা ভুলতে পারেননি তাদের পরিবার-পরিজন। এ দুটি আত্মহত্যার কথা জানান সুফিয়া ও পারুলের ভাইয়ের মেয়ে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারাহ তানজীম তিতিল।
বিশেজ্ঞদের মতে, যারা এক সময় আত্মহত্যার কথা ভেবেছিল তাদের মধ্যে বেশীর ভাগ আজ বেঁচে আছে বলে খুশী। এই ব্যাপারে তাদের মতামত হচ্ছে, তারা আসলে জীবন শেষ করে দিতে চায়নি -শুধু যন্ত্রণাটা দূর করতে চেয়েছিল৷
অষ্ট্রেলিয়া, অষ্ট্রিয়া, কানাডা, কলম্বিয়া, ফিজি, ঘানা, হংকং, ভারত, আয়ারল্যান্ড, ইতালী, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড, শ্রীলংকা, সুদান, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ আত্মহত্যা প্রতিরোধে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস প্রতিপালনসহ আত্মহত্যা প্রতিরোধে নানাবিধ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও আমাদের দেশে তা করা হচ্ছে না।
২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আত্মহত্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। তথ্যে জানা যায়, আত্মহত্যায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। যা ২০১১ সালে ছিল ৩৮তম।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে গত ৬ বছরে সারা দেশে ৫৯ হাজার ৭৬০টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আত্মহত্যা প্রতিরোধে তেমন কোনো জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ এখনো গৃহীত হয়নি।
আত্মহত্যাপ্রবণ বেশিরভাগই ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। ২০১৩ সালে শুধু বিষপান আর ফাঁসীতে ঝুলে আত্মহত্যার ঘটনা ১০২৯টি।
বাংলাদেশে প্রতি এক লাখে ৭ দশমিক ৮ জন আত্মহত্যা করে। এর মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যাই বেশি।
আত্মহত্যা দুটির একটি ঘটেছে তিতিলের জন্মের আগে। দ্বিতীয় ঘটনাটির কথা তিতিলের মনে আছে। তিতিল পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জেনেছেন, তার ফুপু সুফিয়ার বিয়ে হয়েছিল অল্প বয়সে। ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে। পারিবারিক-
ভাবে সম্ভ্রান্ত হলেও ফুপুর স্বামীর চারিত্রিক অনেক ত্রুটি ছিল। তার বিরুদ্ধে নিজের শ্বশুরবাড়িতে ডাকাতি করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ জানাজানি হয়ে গেলে আত্মহত্যা করেন সুফিয়া। তিতিলের আরেক ফুপু পারুলের আত্মহত্যার পেছনে কাজ করেছে আত্মাভিমান। মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে পারুলের মতামত না নেওয়ায় আত্মহত্যা করেন তিনি।
ঘটনা দুটির ব্যাপারে ফারাহ তানজীম তিতিলের মূল্যায়ন হচ্ছে, নারীর প্রতি অসম্মানের কারণেই ঘটনা দুটি ঘটেছে। তিনি অবশ্য মনে করেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কেউ যখন তার মতের প্রতি অন্যদের অশ্রদ্ধা দেখতে পান, পরিবার-পরিজন যখন তাকে বুঝতে চায় না, তখন তার মধ্যে জীবন থেকে পালাবার ইচ্ছা জাগতে পারে। পারিবারিক কলহ, শিক্ষার অভাব ও দারিদ্র্য এগুলোর সঙ্গে কারণ হিসেবে যুক্ত হয়। তবে সামাজিক উপেক্ষা ও বৈষম্যের শিকার হন মূলত নারীরা। তাই আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি হয়ে থাকে। ২০১১ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ মেডিকেল জার্নালের (বিএমজে) এক গবেষণা প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ২০০৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ হাজার ১১৪টি লাশের ময়নাতদন্ত করে দেখা গেছে, ৯৭০ জন আত্মহত্যা করেছিল। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৬০ দশমিক ১ শতাংশ এবং পুরুষ ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ। অবশ্য বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার যে পরিসংখ্যান পাওয়া যায় তা থেকে দেখা গেছে, আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের যৌথভাবে পরিচালিত ন্যাশনাল সার্ভে প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক জনগোষ্ঠী গুরুতর বিষণ্নতা রোগে ভুগছে।
দেশের মোট বয়স্ক জনগোষ্ঠী ১৬ কোটি ধরা হলে গুরুতর বিষণ্নতায় ভোগা রোগীর সংখ্যা ৭৩ লাখ ৬০ হাজার। এই বিশাল জনগোষ্ঠী আত্মহত্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। সর্বাধিক আত্মহত্যার অঞ্চল ঝিনাইদহের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শোভার নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ধনী দেশগুলোয় নারীর তুলনায় পুরুষের আত্মহত্যার হার তিন গুণ বেশি। ওই সব দেশে পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষরা থাকেন সবচেয়ে ঝুঁকিতে। কিন্তু নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে নারী ও তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি।
জাহিদুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধিও।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকে আত্মহত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য এমনটাও হতে পারে, এর আগে অনেক ঘটনা আড়ালে থেকে যেত। জাহিদুল ইসলাম ২০০০-২০১২ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৭০টি সদস্য রাষ্ট্রের ওপর পরিচালিত 'প্রিভেন্টিং সুইসাইড :এ গ্গ্নোবাল ইমপারেটিভ' শিরোনামের একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় আত্মহত্যায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম। বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন আত্মহত্যা করছে। তাদের একটা বড় অংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান মতে, ২০০৩ সালে ১০ হাজার ৩৮৩, ২০০৪ সালে ১০ হাজার ৩৫৭, ২০০৫ সালে ১০ হাজার ৩৫৭, ২০০৬ সালে ১০ হাজার ৬৮০, ২০০৭ সালে ১১ হাজার ১১ হাজার ২০৫, ২০০৮ সালে ১০ হাজার ৫৯০, ২০০৯ সালে ১০ হাজার ১০, ২০১০ সালে ১০ হাজার ৭৮৮, ২০১১ সালে ১০ হাজার ৩২৩, ২০১২ সালে ১০ হাজার ১৬৭, ২০১৩ সালে ১০ হাজার ১২৯ এবং ২০১৪ সালে ১১ হাজার ৯৪ জন আত্মহত্যা করেছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রচণ্ড মর্মদহন বা মনোকষ্ট থেকে আত্মহত্যার দিকে মানুষ ধাবিত হয়। তাৎক্ষণিক উত্তেজনা বা তাড়নার বশবর্তী এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে প্রথমে আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগে, এরপর সে পরিকল্পনা করে এবং আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বড় ধরনের বিষণ্নতা রোগের শেষ পরিণতি হচ্ছে পরিকল্পনার মাধ্যমে আত্মহত্যা।
এ ছাড়া সার্বক্ষণিক আবেগীয় অবস্থা বা মেজাজের পরিবর্তনের সঙ্গে মস্তিষ্কের জৈব রাসায়নিক পদার্থ নিউরোট্রান্সমিটারের গোপন সংশ্রব রয়েছে। এ পদার্থগুলোর মধ্যে সেরোটোনিন ও নরএড্রিনালিনের মাত্রা কমে গেলে মনোজগতে নিম্নচাপ তৈরি হয়। নিম্নচাপ থেকে বিষণ্নতার সৃষ্টি হয়। তখন মানুষের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আত্মহত্যার প্রবল ইচ্ছে তৈরি হয়। হঠাৎ পাওয়া তীব্র মনোকষ্ট, আচমকা অনুভব বা তাৎক্ষণিক উত্তেজনার সময়ও মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটারের অসামঞ্জস্যতা ঘটে যায়। এ সময়ও আকস্মিক আত্মহত্যার উদ্যোগ নিতে পারে মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষণ্নতার কারণে দৈহিক অনেক উপসর্গ আসতে পারে। বিষয়টি নিয়ে মনোচিকিৎসক অথবা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টদের পরামর্শ নিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হবে। সঠিক ডায়াগনোসিস করে রোগীর চিকিৎসার উদ্যোগ নিতে হবে।
শৈলকূপা মহিলা কলেজের সাবেক প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম সেলিম কয়েক বছর আগে ঝিনাইদহে আত্মহত্যার সংখ্যাতাত্তি্বক বিষয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন। তার ওই গবেষণা থেকে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদরসহ জেলার ছয়টি উপজেলায় ২০০৯ সালে আত্মহননকারীর সংখ্যা ছিল ৪৫২।
তাদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১১৫ জন, শৈলকূপা উপাজেলায় ১০৬, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৭১, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৩৫, মহেশপুর উপজেলায় ৬২ ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় ৬৩ জন আত্মহত্যা করে। ২০০৬ সালের অন্য এক জরিপের উল্লেখ করে ওই গবেষণায় বলা হয়, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশের শীর্ষ আত্মহত্যাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল শৈলকূপা। তবে ২০০৯ সালে শৈলকূপাকে ছাড়িয়ে যায় ঝিনাইদহ সদর।
ঝিনাইদহ সদরের সাতটি ইউনিয়নকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যা প্রতিরোধে কাজ করছে শোভা। শোভার নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম ঝিনাইদহের পরিপ্রেক্ষিতে আত্মহত্যার ভৌগোলিক ও সামাজিক কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন নদীভাঙন, খরা ও বন্যা না থাকার কারণে এখানকার মানুষের মধ্যে সংগ্রাম করার মানসিকতা কম। তারা অন্য অনেক অঞ্চলের মানুষের তুলনায় কম কষ্টসহিষ্ণু। প্রকৃতিগতভাবে এখানকার মানুষ অনেকটা আগ্রাসী মনোভাবাপন্ন। কৃষিনির্ভর এই এলাকায় সবজি চাষের কারণে কীটনাশক অনেক সহজলভ্য। তিনি সামাজিক কারণ হিসেবে বলেন, বাংলাদেশের আর সব অঞ্চলের মতো এখানেও রয়েছে পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। তবে পুরুষের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা অন্য অঞ্চলের চেয়ে এখানে অনেক বেশি।
২০০৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ঝিনাইদহ জেলায় ২৭ হাজার ১৫২ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন দুই হাজার ৮৩৬ জন। আত্মহত্যায় মৃত্যুবরণকারীদের ৬০ শতাংশের বেশি নারী।
সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে অবক্ষয় আত্মহত্যার হার বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ বলে মনে করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় মানসিক স্বাস্থ্যকে অন্তর্ভুক্ত ও প্রচলিত কুসংস্কার দূর করার লক্ষ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুমের ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপের পাশাপাশি কীটনাশক প্রস্তুতকারী ও বিপণনকারীদের দায়িত্বশীল হতে হবে।
আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস আজ : আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন ২০০৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর 'বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস' পালন করে আসছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য 'সুইসাইড প্রিভেনশন : রিচিং আউট অ্যান্ড সেভিং লাইভস', যার বাংলা করা হয়েছে 'আত্মহত্যা প্রতিরোধ : সম্প্রসারিত করুন এবং জীবন বাঁচান'।
দিবসটি পালনের জন্য ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইন্দ্রিয় সাইকেল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ছাড়া মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দেশের সবচেয়ে আত্মহত্যাপ্রবণ এলাকা ঝিনাইদহে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শোভা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে আত্মহত্যা প্রতিরোধে গড়ে তোলা সামাজিক সংগঠন ব্রাইটার টুমরোর উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও ১১টায় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
কাউন্সেলিং এবং যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে কাউকে আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরানো সম্ভব। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, অতিমাত্রায় বিষণ্ণতায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা আত্মহত্যার দিকে ধাবিত হন। তরুণ প্রজন্ম সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আত্মহত্যা কেবল যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করে তাকেই না এর প্রভাব পরে প্রতিটি মানুষের ওপর।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে