মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৬, ০৯:৪৯:০২

বুধবারের পর মীর কাসেম আলীর আরেক ধাপ

বুধবারের পর মীর কাসেম আলীর আরেক ধাপ

ঢাকা : মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনটি শুনানির জন্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বুধবারের কার্যতালিকায় এসেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, আপিল বিভাগের ১ নম্বর কোর্টের বুধবারের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আবেদনটি শুনানির জন্য ৫ নম্বরে রাখা হয়েছে।

এদিন ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকলে কার্যকরে আরেক থাকবে মীর কাসেম আলীর।  দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন তিনি।  রাষ্ট্রপতি সেই আবেদন নাকচ করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে প্রক্রিয়া শুরু করবে কারাকর্তৃপক্ষ।

বুধবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি হবে।  বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

বুধবার রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে নেতৃত্ব দেবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।  মীর কাসেম আলীর পক্ষে থাকবেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

আপিল বিভাগের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় গত ১৯ জুন পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন মীর কাসেম আলী।  ওই আবেদনে ১৪টি আইনি যুক্তি তুলে ধরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার আবেদন জানানো হয়।

গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর ফাঁসি বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত আকারে তার আপিল মামলার রায় দেন আপিল বিভাগ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।  এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খালাস চেয়ে মীর কাসেম আলী আপিল করেন।

সাত কার্যদিবসে এ আপিল মামলার শুনানি শেষে সর্বোচ্চ আদালত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তার রায়ের দিন ধার্য করেন ৮ মার্চ।

আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যা ও মরদেহ গুম এবং ২৪ জনকে অপহরণের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন নির্যাতন কেন্দ্রে আটকে রেখে নির্যাতনসহ ১৪টি অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত হন জামায়াত নেতা ও ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক মীর কাসেম আলী।

মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা মোট ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ১০টি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে দুটিতে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।  চারটি অভিযোগে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়।  সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
২৩ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে