নিউজ ডেস্ক : পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি শামীম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে মেজর জিয়াই তাদের বড় ভাই। সে-ই তাদের সব প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।’
মইনুল ইসলাম শামীম ওরফে সিফাত ওরফে ইমরানকে মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গীতে চেরাগ আলী মার্কেটে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। শামীমকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এর আগে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
এ নিয়ে বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মনিরুল ইসলাম। শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শামীম দীপন হত্যায় সিলিপার সেলের দায়িত্বে ছিল। শিহাব ওরফে সুমন নামে আটক একজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।’
মনিরুল ইসলাম বলেন, “জেএমবির সিলিপার সেলের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের তাদের ভাষায় ‘মাসুল’ বলা হয়। দীপন হত্যায় ৫ জন অংশ নেয়। শামীম তাদের মধ্যে একজন।”
তিনি বলেন, ‘দীপন হত্যার আগে শামীমের নেতৃত্বে সিলিপার সেলটি টঙ্গীর একটি বাসায় প্রশিক্ষণ নেয়। পরে মহাখালীতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে দীপনকে হত্যা করে। এই প্রস্তুতি তাদের ভাষায় ‘মারকাজ’ নামে পরিচিত।’
তিনি আরও জানান, শামীম ২০১৪ সাভারে এক ছাত্র হত্যায় জড়িত এবং তার বিরুদ্ধে ছাতকে একটি মামলা আছে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ। সে মদনমোহন কলেজের ছাত্র ছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৩১ অক্টোবর বিকালে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে খুন হন দীপন। ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক ছিলেন তিনি।
২৪ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম