ঢাকা : ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের অর্থপাচারের দুই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির এমডি রফিকুল আমীনসহ ৫১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
একইসঙ্গে ৫১ আসামির মধ্যে পলাতক থাকা ৪৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন আদালত।
বুধবার আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন ও পরোয়ানার এ আদশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা।
প্রায় চার ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা পাচারের দুই মামলার চার্জশিট ২০১৪ সালের ৪ মে আদালতে দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে ডেসটিনির এমডি মো. রফিকুল আমীনসহ ৫১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
চার্জশিটের ৫১ আসামির মধ্যে ৪৬ আসামিই পলাতক।
আসামিদের মধ্যে এমডি মো. রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, লে. কর্নেল (অব.) মো. দিদারুল আলম ও মো. জিয়াউল হক মোল্লা কারাগারে রয়েছন।
পলাতকদের মধ্যে সাঈদুল ইসলাম খান (রুবেল) সম্প্রতি বরিশাল গ্রেপ্তার হন। একমাত্র আসামি লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর রশিদ জামিনে আছেন।
পলাতক আসামিরা হলেন ডেসটিনির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মো. আকবর হোসেন সুমন, মো. সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মো. মজিবুর রহমান, ড. এম হায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মো. ফজলুল করিম, মোল্লা আল আমীন, মো. শফিউল ইসলাম, সিকদার কবিরুল ইসলাম, মো. ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এসএম আহসানুল কবির (বিপ্লব), এএইচএম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মো. আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন) ও মো. শফিকুল হক।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম দুটি দায়ের করেন।
২৪ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম