বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬, ০৫:২৮:৩৪

আনসার আল ইসলামের তিন দায়িত্বে জিয়াউল হক

আনসার আল ইসলামের তিন দায়িত্বে জিয়াউল হক

মো. শামীম রিজভী : আনসার আল ইসলাম (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-এবিটি) নামে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ, আইটি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার এবং মোটিভেশনের মাধ্যমে উগ্রপন্থী কাজে সহায়তা করতেন সেনাবাহিনীতে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার নায়ক মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক। মোটিভেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে সংগঠনটির সদস্যদের কোনো নাশকতামূলক অপারেশনে পাঠানোর আগে অনুপ্রেরণার দায়িত্ব পালন করতেন জিয়া।

সাধারণত জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা অপারেশনে যাওয়ার আগে দুই-এক দিন তাদের সঙ্গে জিয়াউল দেখা করত। সংগঠনটির সদস্যদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য তিনি বলতেন, জিহাদের পথ অনেক শক্ত পথ। আমি খুবই ভালো অবস্থানে ছিলাম। কিন্তু জিহাদের জন্য আমি সব কিছু ত্যাগ করেছি। আমি চাইলে বিলাসী জীবন বেছে নিতে পারতাম। কিন্তু আমি এত ত্যাগ করে এখানে এসেছি। তোমাদেরও সবকিছু ত্যাগ করতে হবে। প্রয়োজনে পরিবারও। আমি পারলে তোমরাও পারবে।

বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হওয়া নিষিদ্ধ সংগঠন আগের আনসারুল্লাহ বাংলা টিম অর্থাৎ নতুন আনসার আল ইসলামের সদস্যদের কাছ থেকে এমন ধরনের তথ্যই পেয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, জিয়াউল এ জঙ্গিগোষ্ঠীর সামরিক শাখার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি ব্লগার হত্যা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। জিয়াউলের প্রশিক্ষণে এসব হামলা এত বেশি নিখুঁতভাবে হয় যে, ঘাতকদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়ে। গত তিন বছরে জিয়াউলের তত্ত্বাবধানে এবিটির অন্তত আটটি স্লিপার সেল তৈরি হয়েছে। প্রতিটি সেলের সদস্য সংখ্যা তিন থেকে পাঁচজন।

সে হিসাবে ৩০ থেকে ৪০ দুর্ধর্ষ ‘স্লিপার কিলার’ তৈরি করেছে জিয়াউল। তারাই ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা করেছে। ২০১৩-২০১৫ সালের মধ্যে পাঁচজন ব্লগার, একজন প্রকাশক ও সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা জুলহাস-তনয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হত্যার পর তদন্তে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জিয়াউলের নাম উঠে এসেছে। জসিমউদ্দিন রাহমানী ও পুরান ঢাকার একটি মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেন্টের হাত ধরেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগ দেয় সৈয়দ জিয়াউল হক।

জসিমউদ্দিন রাহমানী গ্রেফতারের পর ২০১৪ সালে আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি ভারতীয় উপমহাদেশে আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট (একিউআইএস) নামে নতুন একটি শাখার ঘোষণা করার পর আনসারুল্লাহ বাংলা টিম তাদের নাম পরিবর্তন করে আনসার আল ইসলাম নামে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করে।

আত্মগোপনে থেকে জিয়াউল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আধ্যাত্মিক নেতা শাইখ জসিমউদ্দিন রাহমানীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ধীরে ধীরে এবিটির শীর্ষপর্যায়ের একজন নেতা হয়ে ওঠেন। জিয়াউল হক ছিলেন সেনাবাহিনীরও একজন চৌকস অফিসার। কমান্ডো ট্রেনিং রয়েছে তার। অভ্যুত্থানের অন্যতম পরিকল্পনাকারী মেজর জিয়াউল হক তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়েও বেশ পারদর্শী ছিলেন। তাই সবার সঙ্গে মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ করতে তাকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনকি বিদেশে যেসব প্রবাসী এ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ করতেন জিয়াউল। অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে বিদেশে বসবাসরত বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিরা জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অনেকের সঙ্গে জিয়াউল হকের যোগাযোগ ছিল।

গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, সৈয়দ জিয়াউলের পরিকল্পনায় একাধিক ব্লগার, লেখক, ভিন্ন মতালম্বী ও ধর্মালম্বী খুন হন। সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থাতেই জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সৈয়দ জিয়াউল। ২০১১ সালে কয়েকজন সহকর্মী নিয়ে অভ্যূত্থানের চেষ্টা করেন তিনি। ওই বছর ১১ ডিসেম্বর এ ব্যর্থ অভ্যূত্থানের চেষ্টা করা হয়। ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তারা তার অভ্যূত্থান চেষ্টা ভেস্তে দেন। এর পর ২০১২ সালের জানুয়ারিতে সেনাসদর থেকে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সে সময় জিয়ার ছুটি ও বদলি আদেশ বাতিল করে তাকে শিগগিরই ঢাকার লগ এরিয়া সদর দফতরে যোগ দিতে বলা হয়। বিষয়টি টেলিফোনে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর তাকে জানানো হলেও তিনি পলাতক থাকেন।

পালিয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন চুপচাপ ছিলেন জিয়াউল। পরে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠেন জঙ্গি তৎপরতায়। বিভিন্ন সময় ঢাকায় অবস্থান করেই তিনি সংগঠনকে সক্রিয় করছে। একসময় ঢাকার বাড্ডা, মিরপুর, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে ছিলেন জিয়াউল। নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীরের নেতাকর্মীদের বাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের মেস, এমনকি বস্তিতেও থেকেছেন তিনি। অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর শুরুর দিকে জিয়াউল সাত দিন হিযবুত তাহরীরের ব্যবসায়ী এক সমর্থকের মধ্যবাড্ডার বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। এরপর কখনো চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, টেকনাফ-কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পালিয়ে থেকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জিয়াউল গ্রেফতার হলে এবিটি অনেকটা নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়বে এবং দেশে এবিটির কর্মকাণ্ড অনেকটাই কমে আসবে।

গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা যায়, জিয়াউল জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে সেনা সদরদফতর থেকেও জানিয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানী। জসীমউদ্দিন রাহমানী সংগঠনটির সদস্যদের আধ্যাত্মিকভাবে মোটিভেশনের দায়িত্বে ছিলেন এবং সামরিক প্রশিক্ষণ, আইটি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান দিতেন জিয়াউল। জসীমউদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার আগে একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে জিয়াউলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

জিয়াউল সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে ছিলেন। তিনি কমান্ডো ট্রেনিংও করেছেন। আইটি ও সামাজিক যোগাযোগ সম্পর্কেও রয়েছে তার প্রচুর জ্ঞান রয়েছে। ২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করার খবর জানায়। তখন জিয়াউল ছাড়াও তার বন্ধু প্রবাসী ব্যবসায়ী ইশরাক আহমেদ সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়। জিয়াউলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশে এখনো শতাধিক এবিটি সদস্য সক্রিয় রয়েছেন। তারা সবাই জিয়াউলের মাধ্যমে ‘সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত’। হত্যার কাজে তারা চাপাতি ব্যবহার করলেও তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকারও প্রমাণ মিলেছে।

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডের সময় তারা চাপাতি ব্যবহার করলেও তাদের কাছে ছিল অত্যাধুনিক পিস্তল। লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায়ও তাদের কাছে ছিল অত্যাধুনিক পিস্তল। জিয়াউল সংগঠনের সদস্যদের বোমা তৈরিসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তার সঙ্গে আরেক শীর্ষ জঙ্গী নেতা আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখার (একিউআইএস) কমান্ডার এজাজেরও একসময় ঘনিষ্ঠতা ছিল। গত বছর পাকিস্তানের রাজধানী করাচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এজাজ নিহত হন।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমই (এবিটি) হলো আনসার আল ইসলাম। এ সংগঠনটির সামরিক শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছে জিয়াউল। সামরিকসহ অন্য প্রশিক্ষণ ও মাঝেমধ্যে মোটিভেশনের দায়িত্ব পালন করে সে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত এবিটির যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম জানা গেছে। আমরা তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছি। এ সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ও সদস্যদের গ্রেফতার করতে এসব তথ্য সহায়তা করবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২ আগস্ট জিয়াউলের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় পুলিশ।

এর আগে, সেনাবাহিনীতে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থান-চেষ্টার পরই ২০১২ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন মেজর (চাকরীচ্যুত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক। অভ্যুত্থান-চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর থেকেই জিয়ার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। জিয়াকে ধরতে ওই সময় পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকায় তার শ্বশুর মোখলেছুর রহমানের বাসায় দফায় দফায় অভিযান চালায় পুলিশ। রাজধানীর কয়েকটি স্থানেও জিয়ার খোঁজে চলে অভিযান। মেজর জিয়ার শাশুড়ি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হামিদা বেগম সে সময় গণমাধ্যমকে জানান, জিয়া পটুয়াখালীর বাসায় কখনো আসেননি।

২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাসদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর এ চক্রান্ত সেনাবাহিনী জানতে পারে। এ ঘটনার সঙ্গে সেনাবাহিনীর মধ্যম পর্যায়ের ১৪ থেকে ১৬ কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন। এ অভ্যুত্থান-চেষ্টায় বিদেশ থেকে ইন্ধন যোগানোর অভিযোগে প্রবাসী বাংলাদেশি ইশরাক আহমেদের নামও উঠে আসে।

ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের তদন্ত দ্রুত শেষ করার জন্য তখন সেনাবাহিনীতে মোট ৬টি তদন্ত আদালত কাজ শুরু করে। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত আদালত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের কাজে যুক্ত ছিলেন। লে. কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৩ সদস্য করে ঢাকার বাইরে আরও পাঁচটি তদন্ত আদালত তখন গঠন করা হয়েছিল।

সে সময় নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকায় সেনাবাহিনীর অন্য দুজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন— লে. কর্নেল (অব.) এহসান ইউসুফ ও মেজর (অব.) জাকির হোসেন। জব্দ করা হয় এহসানের একটি ল্যাপটপসহ বেশ কিছু জিনিস। এহসানের ল্যাপটপ থেকে অভ্যুত্থান পরিকল্পনার ব্যাপারে বেশকিছু তথ্য পাওয়া যায়। অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম লে. কর্নেল (অব.) এহসান ইউসুফের ল্যাপটপে ছায়া মন্ত্রীদের নামও পাওয়া যায়। এ ল্যাপটপে ছিল সরকার উৎখাত চেষ্টার পরিকল্পনার ছক। বিশৃঙ্খলা তৈরি করে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করার নীলনক্সা করেন এহসান। এমনকি সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ঘটানোর পর কিছু বিষয়ে সংস্কার করার কাল্পনিক পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগও গ্রহণ করেন মেজর জিয়ার এ সহযোগি।

মেজর জিয়াউল হকের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামে। মেজর জিয়া এক সময় রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার ৯ নম্বর সড়কের ৫১২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন। সর্বশেষ জিয়াউল মিরপুর সেনানিবাসের পলাশের ১২ তলায় ছিলেন। তার বাবার নাম সৈয়দ মো. জিল্লুল হক। তিনি সত্তরের দশকে চাকরি নিয়ে সৌদি আরবে যান এবং দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সৌদি আরবে অবস্থান করেন। জিয়া দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। তার পাসপোর্ট নম্বর— এক্স-০৬১৪৯২৩।

জিয়াউল হক প্রথমে বিয়ে করেন তার মামা বিচারপতি মইনুল হকের মেয়ে লিপিকে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৭ সালে প্রথম স্ত্রী মারা গেলে তিনি পটুয়াখালীর মোখলেছুর রহমানের ছোট মেয়ে সাফা জোহরাকে বিয়ে করেন। তার শ্বশুর পটুয়াখালী শহরের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শাশুড়ি হামিদা বেগম পটুয়াখালী শহরের শেরেবাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা। - দ্য রিপোর্ট
২৫ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস‌‌‌‌

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে