নিউজ ডেস্ক : নির্ধারিত কোটার বাইরে অতিরিক্ত আরো পাঁচ হাজার বাংলাদেশীকে এ বছর হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। এর মাধ্যমে মোয়াল্লেম ফি জমা দিয়েও অনিশ্চয়তায় থাকা প্রায় পাঁচ হাজার হজযাত্রীর হজ পালন নিশ্চিত হলো। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (হজ) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সৌদি সরকার কোটা বৃদ্ধি করেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে যারা বাড়ি ভাড়া, উড়োজাহাজের টিকিটসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিয়ে সৌদিতে আসতে পারবেন, সৌদি সরকার তাদের হজ পালনের ব্যবস্থা করবে। এ ব্যাপারে আমরা এখনো কোনো চিঠিপত্র পাইনি। মৌখিকভাবে মোয়াসসাসার চেয়ারম্যান (সৌদি সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি) আমাদের তা জানিয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার বিকালে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসে চিঠি দিয়ে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বাংলাদেশ থেকে নির্ধারিত কোটার বাইরে আরো তিন হাজার হজযাত্রী নেয়ার জন্য ডিও লেটার দেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত কোটার বাইরে তিন হাজার কোটা না দিলে হজ ব্যবস্থা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা জটিল রূপ নিতে পারে। অবশ্য এর আগে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ২৫ হাজার কোটার জন্য সৌদি সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কোটা অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনে সৌদি আরব যাচ্ছেন। তবে নিবন্ধন করেও ২৫ হাজারের বেশি হজযাত্রীর কোটা না থাকায় সৌদি আরব যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। নিবন্ধনে ভুয়া নামও তালিকাভুক্ত হয় বলে অভিযোগ করা হয় কোটাবঞ্চিত হজ এজেন্সির মালিকদের পক্ষ থেকে। এর পর তারা তাদের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের সৌদিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ২২ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ ১৪৩৫ হিজরি) এ বছরের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। দুই মাসব্যাপী হজ-ফ্লাইট পরিচালনায় শিডিউলড ফ্লাইটসহ মোট ২৮৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। যার মধ্যে ২২৪ ডেডিকেটেডএবং ৬১টি শিডিউলড ফ্লাইট। ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘প্রি-হজ’-এ মোট ১৪৫টি (ডেডিকেটেড-১১৫ এবং শিডিউলড-৩০) ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। আর পোস্ট-হজে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪০টি (ডেডিকেটেড-১০৯ এবং শিডিউলড-৩১) ফ্লাইট চালাবে বিমান।