নিউজ ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহত তিন অভিযুক্ত জঙ্গির ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন জনই মারা গেছে মাথায় গুলি লেগে।
এক জনের মাথা থেকে গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। দুজনের শরীর থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণ বোমার স্প্লিন্টার।
অভিযুক্ত তিন জঙ্গির ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত তিন সদস্যের বোর্ডের প্রধান এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিহত তিনজন মারা যাওয়ার আগে কোন শক্তিবর্ধক ঔষধ কিংবা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করেছিল কিনা তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য তাদের মূত্রসহ অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
এছাড়া ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে চুল, কোষ-সহ অন্যান্য নমুনা। কয়েকদিনের মধ্যেই এসব নমুনা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হবে। তবে কবে নাগাদ এসবের ফলাফল পাওয়া যাবে তা জানাননি ড. মাহমুদ।
মৃতদেহ তিনটি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের হিমঘরেই সংরক্ষিত আছে। শনিবার ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের এক অভিযানে এই তিন অভিযুক্ত জঙ্গি নিহত হয়। এদের একজনের নাম তামিম চৌধুরী বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
সে একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক এবং পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরা-সহ বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জঙ্গি হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সে।
তাকে বাংলাদেশে ‘নব্য জেএমবি’ নামে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠির প্রধান বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে।
নিহতদের আরেকজন যশোর থেকে ৫ মাস আগে নিখোঁজ হওয়া এমএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক পর্যায়ের ছাত্র ফজলে রাব্বি। তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত কলেজ অধ্যক্ষ। তার সম্পর্কে এখন পর্যন্ত আর বিশেষ কিছু জানা যায়নি।
তৃতীয়জনের পরিচয় সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।-বিবিসি
২৭ আগস্ট, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/শান্ত/মো:শাই