ঢাকা : সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে (এলটিএম) তিন কোটি টাকার নিচে দরপত্রে অংশ নিতে ঠিকাদারের কোনো অভিজ্ঞতার দরকার হবে না।
বর্তমানে এলটিএম পদ্ধতিতে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত দরপত্রে অংশ নিতে ঠিকাদারদের অভিজ্ঞতার দরকার হয় না।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় আইন (২০০৬) ও সরকারি ক্রয় বিধিমালা (২০০৮) সংশোধনের বিষয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় দুই কোটি টাকার আওতা তিন কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আলোচ্য ক্রয় আইন ও ক্রয় বিধিমালা সংশোধনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রস্তাবগুলো সম্পর্কে মতামত নিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দরদাতা প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে কয়টি কাজ করতে পারবে, সেটা নির্ধারণ করা হবে তাদের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনা করে। এ ছাড়া তিন কোটি টাকা পর্যন্ত কাজে যৌথভাবে দরপত্রে অংশ নেওয়া যাবে না।
সভায় আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের ক্ষেত্রে এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতির প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে দরদাতাকে একই সঙ্গে আর্থিক ও কারিগরি প্রস্তাবও জমা দিতে হবে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ দরপত্রের ক্ষেত্রে এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতি রয়েছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে পাওয়া সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক ফারুক হোসেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান আইনে উন্মুক্ত ও সীমিত-এই দুই ধরনের দরপত্র পদ্ধতি রয়েছে। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে (ওটিএম) সরকারি ক্রয়কারি প্রতিষ্ঠান কত টাকায় কাজ বা সেবা কিনতে আগ্রহী, তা উল্লেখ থাকে না।
আর সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে (এলটিএম) সরকারি প্রতিষ্ঠান কত টাকায় কাজ বা সেবা কিনতে চায়, তা উল্লেখ থাকে। এ পদ্ধতিতে বর্তমানে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত কেনাকাটা করা যায়।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ