ঢাকা : আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রিভিউ আবেদন খারিজ করে রায় দেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার খবর রেডিওতে শুনেছেন তিনি। কাশিমপুর কারাকর্তৃপক্ষ একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, কারাগারে বন্দিরা চাইলে এক ব্যান্ডের রেডিও রাখতে পারেন।
সেই রেডিওতেই কাসেম রায়ের খবর জেনেছেন। আগে তাকে বেশ শক্ত দেখা গেলেও রায় শোনার পর অনেকটা নার্ভাস মনে হয়েছে বলে জানান জেলার।
তিনি জানান, রায়ের অনুলিপি হাতে পেলে নিয়ম অনুযায়ী আসামিকে তা পড়ে শোনানো হবে। এরপর মীর কাসেমের কাছে জানতে চাওয়া হবে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না।
এসময় মার্সি পিটিশন করতে রাজি হলে তিনি সময় পাবেন। তা না করলে পরে ফাঁসি কার্যকরের ব্যবস্থা করা হবে।
রায়ের কপি আজই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হয়ে কারাগারে যাবে। এরপর কাসেমকে রায় পড়ে শোনানো হবে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হবে।
এ সময় প্রাণভিক্ষা চাইলে আর রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দিলে, বা প্রাণভিক্ষা না চাইলে ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
২০১২ সালের ১৭ জুন যুদ্ধাপরাধ মামলায় গ্রেফতার করা হয় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীকে। গ্রেফতারের পর কাশিমপুর কারাগারেই রাখা হয়েছিল তাকে।
৩০ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম