নিউজ ডেস্ক : শনিবার রাতে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের পর শাহবাগে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “এই যুদ্ধাপরাধীরা আজকেও জঙ্গিবাদের উত্থানের মাধ্যমে এই বাংলাদেশকে অকার্যকর ও ব্যর্থ করতে চায়। আমরা দেখেছি, যুদ্ধাপরাধের বিচার যখন হচ্ছে, তখন যুদ্ধাপরাধীদের সংগঠন, সন্তান-সন্তুতিসহ স্বজনরা কী ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন!”
এসময় গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, এবার মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়ে একাত্তরের এই মানবতাবিরোধী অপরাধীর স্ত্রীর কথার জবাব দেওয়া হবে।
ইমরান বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা লাগিয়েছেন, তারা আজকে নতুনভাবে যুদ্ধাপরাধীদের স্বজনদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে এই ঔদ্ধত্যের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।”
এর আগে কাশিমপুর কারাগারে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন জানান, এ সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করে লাভ নেই। প্রাণভিক্ষা চাইলেও তা পাওয়া যেত না। এ কারণে তিনি তা চাননি।
তিনি বলেন, আমরা উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছি। উনি মৃত্যু ভয়ে ভীত নন। তিনি বলেছেন, এ মৃত্যু শহীদী মৃত্যু। যারা তাকে ফাঁসিতে ঝুলাচ্ছে তাদের পরাজয় হবে। এদেশে একদিন ইসলাম বিজয়ী হবে।
এই প্রসঙ্গ টেনে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, আজকে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর স্ত্রী যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন, যে কথা বলেছেন, সেই কথারও উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। আমরা যারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছি, তাদের স্বপ্ন নাকি কোনোদিন বাস্তবায়িত হবে না।
ইমরান এইচ সরকার আরো বলেন, আমরা নাকি পরাজিত হব, তারা নাকি তাদের ‘দুঃস্বপ্নের’ সেই পাকিস্তানি দর্শনের একটি উগ্র-ধর্মান্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তারাই নাকি জয়ী হবে। এর উপযুক্ত জবাব আমরা দিতে চাই। সরকারের কাছেও আহ্বান জানাব, এর উপযুক্ত জবাব দিয়ে আমরা নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়ে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হব।”
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। রাত সাড়ে ১০টায় ফাঁসি কার্যকরের পর উল্লাস প্রকাশ করেন তারা।
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি