বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:৩৮:৩৭

কেন ঢাকায় আসে মানুষ?

কেন ঢাকায় আসে মানুষ?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ : রাস্তার পাশে গালে হাত দিয়ে বসে আছেন খাদিজা বেগম। বয়স ৪২ বছর। প্রতিদিন সকাল ৬টার পর কাজের অপেক্ষায় বসে থাকেন রাস্তার পাশে। আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটু পশ্চিমে ‘শ্রমহাটে’। সঙ্গে তার একমাত্র কিশোরী কন্যাও। আছেন নিত্যদিনের অন্য কাজ সন্ধানী অচেনা শ’তেক সহকর্মীরাও।

খাদিজা বেগম জানান, তিনি ইট ভাঙার কাজই বেশি করেন। কোনো দিন কাজ পান, আবার অনেক দিন শূন্য হাতেও ফিরে যান। কাজের খোঁজে আঠারো বছর আগে এ শহরে তার আসা। এখন থাকেন শহীদনগর ৪ নম্বর গলির জিনুর বাড়িতে। জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার চরগাঁও গ্রামে তার বাড়ি। বাড়িতে এক কাঠা জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। এ কাজ করেই খাদিজার কোনো রকম সংসার চলে। কাজের ক্ষেত্রে পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে মায়নার বৈষম্যও কম নয়।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, একই কাজ করে পুরুষ সহকর্মী পান পাঁচশ’ আর নারীদের দেয়া হয় চারশ টাকা। তার পরেও কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করাই তার লক্ষ্য। এখানেই কথা হয় কাজের সন্ধানে আসা চল্লিশোর্ধ হেলেনা বিবির সঙ্গে। তিনিও প্রায় একই কাজ করেন। দু’বছর আগে তিনি এসেছেন নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারের জালাকান্দি থেকে। ছয়জনের সংসর নিয়ে বিধবা হেলেনার সংসার চলে কোনো মতে।

শুধু খাদিজা, হেলেনা নন, প্রতি বছর গড়ে ছয় লাখ ১২ হাজারের ওপরে মানুষ ঢাকা শহরে যুক্ত হচ্ছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি মাসে আসছেন অর্ধলাখের ওপরে। এরা কাজের সন্ধানে এসে থেকে যাচ্ছেন। প্রতিদিন এই শহরে বিভিন্ন সেবা নেয়ার জন্য আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছেন আরো চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ।

দেশ-বিদেশে নগর নিয়ে গবেষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম নাজেম। মানুষ কেন ঢাকায় আসেন জানতে চাইলে ড. নুরুল ইসলাম নাজেম বলেন, অর্থনৈতিক ও জলবায়ুগত কারণে মানুষ ঢাকায় আসছে। অর্থনৈতিক কারণের মধ্যে রয়েছে দরিদ্রতা, বেকার ও ভূমিহীন। প্রধান যেসব উপাদানগুলো মানুষকে ঢাকায় টানছে বা আকর্ষণ করছে তা হচ্ছে- এখানে বিনিয়োগ, শিল্পকারখানা বেশি, নির্মাণ কাজ, পরিবহন সেক্টর। আবার অন্যদিকে গ্রাম মানুষকে ধরে রাখতে পারছে না; কারণ কাজ নেই। কৃষিকাজ এখন অনেক হিসাব করে করা হয়। গ্রামেও অকৃষিভিত্তিক কাজ হচ্ছে। ঢাকা মেগনেটিক পাওয়ার হিসেবে মানুষকে এখানে টানছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এই বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, প্রতিদিন ঢাকা শহরে কমিউটার হিসেবে ৪ থেকে ৫ লাখ লোক আসেন লঞ্চ, ট্রেন ও বাসে। তারা এই শহরের বিভিন্ন সেবা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আবার চলেও যান। তারা এখানে অবস্থান করেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন- শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশাসনিক, বিচার নানা কারণে রাজধানীতে আসতে হয় মানুষকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে সমপ্রতি অনুষ্ঠিত জলবায়ুু পরিবর্তনে ঢাকার ওপর প্রভাব নিয়ে কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঢাকা দেশের মোট আয়তনের ১ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ মানুষ এখানে বসবাস করছে। ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয়: ঢাকা মহানগরের উপর প্রভাব’ বিষয়ক কর্মশালায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গ্রামের মানুষের ঢাকায় এই অভিগমন হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের গবেষণা ল্যাব আরবান স্টুডিওর পরিচালনায় এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধার খোঁজে গ্রামের মানুষরা ঢাকামুখী হচ্ছেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নগরবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, সরকার ও নীতিনির্ধারকরা ঢাকা নিয়ে বেশি চিন্তা করেন না। ঢাকা নিজের মতো চলছে। এ পরিস্থিতিতে এই গবেষণা তাই অবশ্যই ইতিবাচক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম নাজেম ওই কর্মশালায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের ৫৫ শতাংশই ঢাকায় চলে আসেন। জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪০ শতাংশ আসে ঢাকা থেকে। তাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এই শহর ঝুঁকিমুক্ত রাখার দিকে বিশেষ নজর দেয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

জাতিসংঘরে বরাত দিয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিচার্স অ্যান্ড ট্রেনিং (নিপোর্ট) ২০১৩ সালের বাংলাদেশ আরবান হেলথ সার্ভের এক গবেষণার প্রতিবেদনে বলেছে, ঢাকা ১১তম বৃহৎ মেগাসিটি। জনসংখ্যা ১৭ মিলিয়ন (এক কোটি ৭০ লাখ)। পৃথিবীর অন্যান্য মেগাসিটিগুলোর মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। এখানে বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এই হিসাবে প্রতি বছর ঢাকা শহরে নতুন করে ৬ লাখ ১২ হাজার লোক যুক্ত হচ্ছে। প্রতি মাসে ৫১ হাজার আর প্রতিদিন প্রায় ১৭শ’ লোক এই শহরে স্থায়ীভাবে থেকে যাচ্ছেন।

ওই গবেষণার বলা হয়, আগামী ২০৩০ সালে ঢাকার শহরের লোকসংখ্যা হবে ২৭ মিলিয়ন (২ কোটি ৭০ লাখ), যা ঢাকাকে বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহৎ শহর হিসাবে পরিণত করবে। গবেষণায় বলা হয়, ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকে রাজধানীতে আসেন ২৫ শতাংশ, বরিশাল বিভাগ থেকে ২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১০ শতাংশ, রংপুর বিভাগ থেকে ৬ শতাংশ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ থেকে ৪ শতাংশ করে এবং সিলেট বিভাগ থেকে এক শতাংশ। আর রাজধানীর নিজস্ব রয়েছে ৩০ শতাংশ জনসংখ্যা। জাতিসংঘ প্রণীত মেগাসিটির তালিকা অনুযায়ী এক কোটির ওপরে বসবাসকারী নগরীকে মেগাসিটি বলা হয়।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৪৭ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯২ হাজার, ১৯৫১ সালে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৮ এবং ১৯৬১ সালে ৫ লাখ ৫০ হাজার ১৪৩। ১৯৭৪ সালে আদমশুমারি অনুযায়ী ঢাকার জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৭ হাজার এবং ১০ বছর পর ১৯৮১ সালে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪ লাখ ৪০ হাজার। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ঢাকার জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৬৮ লাখ ৪৪ হাজার এবং ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী সালে ১ কোটি ৭ লাখ।

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম তার ‘উন্নয়নে নগরায়ণ’ বইতে লিখেছেন ১৯৭৪ সালে যখন স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়, তখন ঢাকার জনসংখ্যা ছিল ১৬ লাখের মতো। ’৮১-তে এসে ঢাকার জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৩৫ লাখে, ’৯১-তে ৭০ লাখে। তখন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ঢাকা মহানগরকে মেগাসিটি নামে আখ্যায়িত করে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনেও ঢাকাকে ’৮৬ সালেই মেগাসিটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানুষের ভারে ডুবতে বসেছে ঢাকা। বর্তমানে ঢাকা যেভাবে বাড়ছে এবং ঢাকামুখী জনস্রোত যদি থামানো না যায় তাহলে ভবিষ্যতে ঢাকা মহানগরী একটি অকার্যকর নগরীতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে দীর্ঘদিন ধরে বারবার উঠে এসেছে বসবাসের অনুপযুক্ত হিসেবে ঢাকা মহানগরীর নাম। তাদের মতে, এরপরও যদি কারো টনক না নড়ে তাহলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলেও মনুষ্যসৃষ্ট কারণেই একদিন পরিত্যক্ত হতে পারে ঢাকা। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ঢাকা মহানগরীর আয়তন আর কোনো মতেই বাড়তে দেয়া উচিত নয়।

এ ছাড়া এখনই থামানোর উদ্যোগ নিতে হবে ঢাকামুখী জনস্রোত। ঢাকাকেন্দ্রিক একমুখী উন্নয়ন বন্ধ করে বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোতে উন্নত শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান এবং উন্নত জীবনব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। যাতে সামান্য কারণে মানুষকে ঢাকায় আসতে না হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, গণতান্ত্রিক দেশে এ কথা বলা যায় না যে, বর্তমানে যারা ঢাকায় আছেন এর বাইরে আর কেউ এসে এখানে বসবাস করতে পারবেন না। কিন্তু যারা ঢাকার বাইরে আছেন তাদের জন্যও ঢাকার সমান সুযোগ তৈরি করে তাদের ঢাকায় আসার প্রয়োজনীয়তা কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘ মেয়াদে ঢাকার যানজট সমস্যার সমাধান এবং পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হলে সবার আগে ঠিক করতে হবে- ঢাকার আয়তন এবং জনসংখ্যা কোন পর্যায়ে গিয়ে থামবে। এরপর সে আলোকে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বের সব বড় শহরে যানজট নিরসনে এভাবেই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমাদের সব উন্নয়ন কার্যক্রম এবং পরিকল্পনা ঢাকাকেন্দ্রিক। মানুষকে নানা কারণে ঢাকা আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। ঢাকামুখী এ স্রোত থামাতে না পারলে সমস্যার সমাধান হবে না। যে কারণে মানুষ ঢাকায় আসে সেসব কারণ গ্রামে নিয়ে যেতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সারওয়ার জাহান বলেন, স্বাধীনতার সময়ে ঢাকার লোকসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ। ’৮১ সালে ৩০ লাখ, ’৯১ সালে ৬৫ লাখ, ২০০১ সালে এক কোটির ওপরে আর এখন দেড় কোটি। ৪১ বছরে প্রায় ১০ গুণ জনসংখ্যা বেড়েছে। তিনি জানান, ঢাকা বাংলাদেশের মাঝখানে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রে সবকিছুই হচ্ছে। পলিসির কারণে এখানে ব্যবসা করতে আসতে হয়। এই শহরের সঙ্গে নদী, রোড ও ট্রেন যোগাযোগ রয়েছে।

এখানে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। অর্থাৎ সরকারের ক্ষমতা এখান থেকে পরিচালিত হয়। ফলে সবাইকে এখানে আসতে হয়। সমস্যার কারণে ঢাকার বাইরে শিল্প-কারখানা করতে যান না উদ্যোক্তারা। দেশে যত চাকরি হয় তার প্রায় ৪০ শতাংশ ঢাকায়। ফলে জনস্রোত বেশি। ফরমাল কাজও ঢাকার আশপাশে বেশি হচ্ছে। এখানে রয়েছে বস্তিবাসীও। এসব কারণে ঢাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েই যাচ্ছে। পুরান ঢাকায় প্রতি একরে ৪০০ থেকে ৫০০ লোক বাস করেন আর নতুন ঢাকা তথা ধানমন্ডি, গুলশানে ২০০ থেকে ২৫০ লোক বাস করেন। ফলে রাস্তা-ঘাটে চাপ বেশি। পলিসির কারণে আবাসিক ৬ তলা থেকে এখন ১৪/১৫ তলা ভবনও হচ্ছে। রাজউক অনুমোদনও দিচ্ছে।

জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. একেএম নূর-উন-নবী এ প্রসঙ্গে মানবজমিনকে বলেন, ঢাকার মতো বিকল্প শহর গড়ে উঠেনি, তাই মানুষ ঢাকায় ছুটছেন। নানা কারণে মানুষ এই শহরে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে, চাকরির সন্ধানে, বেঁচে থাকার জন্য জীবন-জীবিকার তাগিদে, ভালো স্বাস্থ্য সেবা নিতে ও ভালো স্কুলে পড়তে। দক্ষতা বাড়ানোর জায়গা এ শহর।

নদীভাঙার কারণে এই শহরটি হচ্ছে কেন্দ্রবিন্দু। ৫০-দশকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শহর ভালো ভূমিকা পালন করলেও এখন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেভাবে এগুতে পারছে না, তাই সুযোগ-সবিধার খোঁজে রাজধানীমুখী মানুষ। এখানে প্রশাসনিক দপ্তর। তিনি বলেন, ঢাকা ছাড়া চট্টগ্রাম হলেও তা এই শহরটি তেমন গুরুত্ববহন করে না। বিকল্প শহর গড়ে তুলতে, যেখানে মানুষের আকর্ষণ বাড়বে। গ্রামেও অ-কৃষিভিত্তিক উন্নয়ন করা যায় ছোট ছোট প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তাহলে মানুষে এ শহরমুখী হবে না। মুক্ত বাতাস থেকে দুস্থ বাতাসে আসবে না। - এমজমিন
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে