বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০১:১৮:২৮

অভিজিৎ ও দীপন হত্যার মূল হোতা মেজর জিয়া

অভিজিৎ ও দীপন হত্যার মূল হোতা মেজর জিয়া

আবুল খায়ের : মুক্তমনা লেখক, ব্লগার অভিজিত্ রায় ও প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা এবং প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যা চেষ্টা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) চূড়ান্ত করেছে পুলিশ। এসব মামলায় গ্রেফতারকৃতরা আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছে, সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগে বরখাস্তকৃত মেজর জিয়াই এসব হত্যাকাণ্ড ও হামলার পরিকল্পনাকারী। তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে এসব হত্যা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, তিনটি অভিযোগপত্রেই গুরুত্বপূর্ণ আসামি হিসেবে মেজর জিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। শিগগিরই অভিযোগপত্রগুলো আদালতে দাখিল করা হবে।
 
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক বর্তমানে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দায়িত্বে আছেন। তার পরিকল্পনাতেই একে একে খুন করা হয়েছে মুক্তমনা লেখক ও ব্লগারদের। স্লিপার সেল গঠন করে ব্লগারদের হত্যা করিয়েছেন তিনি।
 
গত বছর একুশে বই মেলার কাছে জঙ্গি হামলায় নিহত হন মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার অভিজিত্ রায়। একই বছরের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ প্রকাশনা অফিসে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়। তার কয়েক ঘণ্টা আগে লালমাটিয়ার আরেক প্রকাশনা অফিসে প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুলসহ তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
 
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি থেকে বোঝা যাচ্ছে মেজর জিয়া ব্লগার হত্যায় জড়িত। আমরা তাকে খুঁজছি। লেখক অভিজিত্ এবং প্রকাশক দীপন হত্যার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পুরস্কার ঘোষিত আনসার আল ইসলাম নেতা সুজন ওরফে সাদকে সমপ্রতি গ্রেফতার করেছে ডিবি। হত্যায় সরাসরি অংশ না নিলেও হত্যাকারীদের প্রশিক্ষণ এবং হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে সে। অভিজিত ও দীপন হত্যা এবং টুটুল হত্যা চেষ্টার কথা সে স্বীকার করেছে। মাদ্রাসায় পড়ার সময় কথিত এক বড় ভাই তাকে টার্গেট করে। সেই বড় ভাই তাকে জানায়, এখন ভালো করে পড়াশোনা করো, পরে যখন হিজরতের সময় হবে তখন জানানো হবে। পরে সেই হিজরতের পথে নিয়ে যায় তাকে। আর সেই বড় ভাই হলেন মেজর জিয়া।’
 
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মেজর জিয়ার পরিকল্পনা, পরামর্শ ও নির্দেশনায় হিযবুত তাহরীরের অনেক সদস্য নতুন করে সংগঠিত হয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) নামে আরেকটি জঙ্গি সংগঠনের জন্ম দেয়। এবিটির ৪-৫ জন করে সদস্য নিয়ে ছোট ছোট স্লিপার সেল তৈরি করা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়া অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর চড়াও হয় সেই সব স্লিপার সেল। তারা ব্লগারদের নির্মমভাবে হত্যা শুরু করে। ইত্তেফাক

৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে