কাজী জেবেল ও হাসিব বিন শহিদ : অর্থনীতির লাইফলাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে সাত কারণে যানজট হচ্ছে। ৩ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত হলেও যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা মুক্তি পাচ্ছেন না যানজটের দুর্বিষহ যন্ত্রণা থেকে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথেই আটকে থাকছে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। নষ্ট হচ্ছে শত শত কর্মঘণ্টা। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে তীব্র যানজটের আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যানজটের কারণ অনুসন্ধানের জন্য কয়েকদিন সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহাসড়কটি ৮ লেন দিয়ে শুরু হয়েছে। মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের যাত্রাবাড়ী প্রান্ত থেকে শিমরাইল পর্যন্ত আট লেন। এরপর চার লেনের কাঁচপুর সেতু। এই মহাসড়কে আছে দুই লেনের মেঘনা এবং মেঘনা গোমতী সেতু। আট ও চার লেনের মহাসড়কের তুলনায় সরু সেতুর কারণে বড় ধরনের যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া এই মহাসড়কে অর্ধশতাধিক ইউটার্ন আছে। অবৈধ সিএনজি, টেম্পো ও ট্রাকপার্কিং স্ট্যান্ড আছে ২৫টি। রাস্তার ওপর ৭০-৭৫ স্পটে হাট, বাজার ও দোকানপাট বসানো হয়েছে। এছাড়া অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া, দুর্ঘটনা এবং গাড়ি বিকল হয়ে পড়ছে। এসব কারণে দীর্ঘ এই মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সোহাগ পরিবহনের মালিক ফারুক তালুকদার সোহেল বলেন, চার লেনের গাড়ি মেঘনা-গোমতী সেতুর দুই লেনে পার হওয়ার সময়ই দুই প্রান্তেই যানজট হচ্ছে। সড়কের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেতু নির্মাণ হয়নি। এছাড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণে সপ্তাহে এক-দু’দিন দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে অপেক্ষমাণ গাড়ির লাইন লম্বা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পনা ছাড়াই চার লেন করা হয়েছে। ফলে চার লেন সড়কের পুরো সুফল পাচ্ছেন না ব্যবহারকারীরা। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যাতায়াতের ওই মহাসড়কটিতে যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সে হিসাবে ছয় থেকে আট লেনের মহাসড়ক নির্মাণ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
যাত্রী ও পণ্যবাহী যানচালক, যাত্রী, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর কারণে মূলত যানজট হচ্ছে। আট ও চার লেন দিয়ে আসা দ্রুত গতির যানবাহনগুলো সেতুর মুখে এসে প্রায় থেমে যাচ্ছে। চার বা দুই লেনের সেতু দিয়ে আসা যানবাহন একসঙ্গে সেতু পার হতে পারে না। অপেক্ষা করতে হয়। এতে ক্রমেই অপেক্ষায় থাকা গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। এছাড়া সেতুর বাইরে মহাসড়কের ওপর ইউটার্নগুলো বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করছে। হঠাৎ করেই ইউটার্ন নেয়ায় পেছনের গাড়ির গতি হ্রাস পাচ্ছে।
এছাড়া দুর্ঘটনাও ঘটছে। অবৈধ পার্কিং, হাটবাজার বসানো, স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে দখলের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা ও গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়া যেন নিত্যদিনের চিত্র। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ টার্মিনাল, হাটবাজার ও স্থাপনা থেকে প্রতিদিন মোটা অংকের চাঁদা আদায় করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। ওই চাঁদার ভাগ রাজনৈতিক কর্মী, আইনশৃংখলা বাহিনী, পরিবহন সংশ্লিষ্টসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চলে যায়।
তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি এমএ মালেক। তিনি বলেন, সড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণে মাঝে মধ্যে যানজট হলেও পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। বর্তমানে এ মহাসড়কে উল্লেখযোগ্য কোনো সমস্যা দেখছি না। অবৈধ হাটবাজার ও স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়া। যখনই দখলের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তখনই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ৩ হাজার ৮১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে চট্টগ্রাম সিটিগেট পর্যন্ত ১৯১ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ মহাসড়কে ২৩টি সেতু, ৩টি রেলওয়ে ওভারপাস ও ২৪২টি বক্স কালভার্ট রয়েছে। প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে মহাসড়কের পরিবহন চাপ কমিয়ে আনা এবং দ্রুত গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা।
তারা বলেন, কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে সাড়ে চার ঘণ্টা থেকে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায় পৌঁছানোর কথা। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানালেন ভিন্নকথা। তাদের মতে, যানজট না থাকলে সাধারণত সাড়ে ৫ ঘণ্টা থেকে ৬ ঘণ্টায় গাড়ি যাতায়াত করতে পারে। তবে সপ্তাহের অন্তত দুই দিন ওই মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। যাতায়াতের সময় বেড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লেগে যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, চট্টগ্রামগামী গাড়ি ঢাকা থেকে বের হওয়ার পরই কাঁচপুর, মদনপুর, মেঘনাঘাট, মোগরাপাড়া চৌরাস্তাসহ কয়েকটি পয়েন্টে এসে যানজটের কবলে পড়ছে। ঈদকে সামনে রেখে গরুবাহী ট্রাক ও পণ্যবাহী অতিরিক্ত ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ অংশের মহাসড়কে যানজট এখন নিত্যদিনের চিত্রে পরিণত হয়েছে। এ এলাকায় মহাসড়কের ওপর ৫টি স্থানে অবৈধভাবে গণপরিবহন থামানো হয়।
সেগুলো হচ্ছে- কাঁচপুর, দড়িকান্দি, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, মেঘনা ও চিপরদী। মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় প্রতিদিন সকালে সড়কের ওপরে কাঁচাবাজারের আড়ত বসছে। মহাসড়কে ট্রাক দাঁড় করিয়ে এসব আড়তে পণ্য লোড-আনলোড করা হয়। এছাড়া কাঁচপুরসহ কয়েকটি স্পটে অবৈধ দোকানপাট বসেছে। রয়েছে ৫টি ইউটার্ন। গাড়িচালকরা এসব ইউটার্নে হুটহাট করে গাড়ি ঘোরানোর ফলেও দ্রুতগামী গাড়ির গতি থেমে যায়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি শেখ শরীফুল আলম জানান, ঈদ সামনে রেখে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল ও মাঝে মধ্যে হাইওয়ে রোডে পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন বিকল হয়ে পড়লে মেঘনা সেতু ও কাঁচপুরসহ কয়েকটি পয়েন্টে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তা নিরসন করছে। সম্প্রতি কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অধীনে থাকা রেকারটি বিকল হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনাকবলিত অনেক যানবাহন রাস্তা থেকে সরাতে পুলিশকে কিছুটা হিমশিম খেতে হয়।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৩ কিলোমিটার রাস্তার ওপর ইউটার্ন রয়েছে ১৮টি। এছাড়া মেঘনা ও গোমতী সেতুর মাঝখানে ৮টি স্থানে বাস থামানো হয়। ভবেরচর ও জামালদি বাসস্ট্যান্ডে নিয়মিত হাটবাজার বসে। বড় বিপত্তি বাধে মেঘনা ও গোমতী সেতুতে গাড়ি ওঠানামায়। দুই লেনের এ দুই সেতুতে চার লেনে আসা গাড়িগুলো উঠতেই যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রতি মিনিটে প্রায় অর্ধশত গাড়ি ৮০ কিলোমিটার গতিবেগ থেকে কমিয়ে প্রায় ২-৪ কিমি. গতিতে সেতুর ওপরে ওঠে। অনেক সময় পুরনো ও দুর্বল শক্তির ইঞ্জিনবিশিষ্ট গাড়ি সেতুতে উঠতে গিয়ে বিকল হয়ে যায়। এতে দেখা দেয় তীব্র যানজট।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত ও শুক্রবার ভোরে পরপর তিনটি পণ্যবাহী ও গরুবোঝাই ট্রাক মেঘনা সেতুর ওপর বিকল হয়ে পড়ায় মেঘনা সেতুর মধ্যবর্তী স্থান থেকে মহাসড়কের উভয় প্রান্তে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১০ ঘণ্টাব্যাপী তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ওইদিন সকালে মহাসড়কের লাঙলবন্দ ব্রিজ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক পথচারী শিশু নিহত হয়। এ ঘটনার পর মহাসড়কে যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করে। যানজটের কবলে পড়ে এ সময় হাজার হাজার পরিবহন যাত্রী চরম দুর্ভোগ পোহান। অনেকে তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
গজারিয়া উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা বিলকিস জানান, অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন বন্ধ করার কাজ শুরু করেছে। গুরুত্বপূর্ণ ইউটার্ন রেখে বাকিগুলো বন্ধ করা হবে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে মোহাম্মদ আলী এলাকা পর্যন্ত জেলার ১০৪ কিলোমিটার মহাসড়কে ৬-৭টি অবৈধ বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ড রয়েছে। ইউটার্ন রয়েছে ২০-২৫টি। মহাসড়কের ওপর বাজার বসানো হয় ৪-৫টি স্পটে। মহাসড়কের যাত্রী সমাগম স্থানগুলোতে রয়েছে অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা। মহাসড়কের যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা হয়।
সরেজমিন আরও দেখা গেছে, মহাসড়কের গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ, মাধাইয়া, চান্দিনা, কাবিলা, ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, মিয়ার বাজার ও চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কের পাশে সম্প্রতি গড়ে উঠেছে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা। মহাসড়কের গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ, চান্দিনা, পদুয়ার বাজার এলাকায় রয়েছে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। এসব সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে সরকারদলীয় ক্যাডাররা নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে ফোর লেন প্রকল্পের কাজ চলছে। ওই সময়ের সড়কের কিছু অংশে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
ফেনীর ৩২ কিলোমিটার মহাসড়কের ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস এবং মহিপাল জিরোপয়েন্ট ৬ লেইন ওভারব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। লেমুয়া পুরাতন ব্রিজের সংযোগের পাটাতন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া মহিপাল বাস ও ট্রাকস্ট্যান্ড থাকলেও মহাসড়কের ওপর গাড়ি পার্কিং, যাত্রী ওঠানামা ও পণ্য লোড-আনলোড নিয়মিত চিত্র। লালপুরেও রয়েছে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড। এছাড়া অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে মোহাম্মদ আলী, লালপুল, মহুরীগঞ্জ, বোগদাদিয়া ও সাউথইস্ট কলেজ সংলগ্ন বাজার। মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া ব্রিজের (পুরাতন) অংশের মাঝপথে স্টিলপ্লেট লক্কড়ঝক্কড় থাকায় ওই ব্রিজে বিকল হয়ে পড়ে মালবাহী ট্রাক। এসব কারণে এ এলাকায় যানজট নিত্যদিনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মহাসড়কের মোহাম্মদ আলীবাজারে স্থানীয় সরকারদলীয় নেতারা কোরবানির পশুর হাট বসিয়েছেন।
চট্টগ্রামে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে বিপত্তি ঘটে কালুশাহনগর ওভারব্রিজে। এখানে নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় পুরনো দুই লেনের ব্রিজে গাড়ি চলাচল করছে। এতে গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে। কখনও কখনও দুর্ঘটনা বা গাড়ি বিকল হলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
চার লেন প্রকল্পের সুফল পাওয়ার বিষয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্পের পরিচালক আফতাব হোসেন খান বলেন, কিছু ব্রিজের নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেগুলো দ্রুত শেষ করা হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কে অবৈধ দখল হলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চিঠি দিয়ে জানানো হচ্ছে। তারাই উচ্ছেদের ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, আসন্ন ঈদে মহাসড়কের ওপর যাতে পশুর হাট না বসে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।
এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন কুমিল্লা ব্যুরোর রিপোর্টার আবুল খায়ের, ফেনী প্রতিনিধি যতন মজুমদার, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি আল আমিন তুষার, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি মো. মুকবুল হোসেন, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি এসএম ফোরকান আবু। -যুগান্তর
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি