নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তানের দূতাবাসকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, তারা কি ষড়যন্ত্র করছে তা জানতে দূতাবাসটি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় পাকিস্তান ও তুরস্কের দেয়া বিবৃতির প্রতিবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান।
‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন বুধবার এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংগঠনটির আহ্বায়ক নৌমন্ত্রী নিজেই।
মন্ত্রীর লিখিত বক্তব্যের পাকিস্তান দূতাবাস এখন ষড়যন্ত্রের আখড়া, নব্য কাশিমবাজার কুঠিতে পরিণত হয়েছে" বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানি যে কোন প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের সরকার কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ করে।
জামায়াতের আরো কোনো নেতার ফাঁসি হলে দূতাবাসগুলো যদি ফের প্রতিবাদ জানায় তাহলে সরকার কি করবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জনগণ ঐক্যবদ্ধ না হলে কোন আন্দোলন সফল হয় না। বিএনপির সঙ্গে তো জনগণ নেই তাই টানা তিনমাস পেট্রোল বোমা চালিয়ে আন্দোলন করেও ব্যর্থ হয়েছে। দূতাবাসগুলো বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানালে সরকার জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করবে।
তিনি আরো বলেন, খালেদার জাতীয় ঐক্যে কেউ সাড়া দেয়নি। অথচ সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনতা প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে। সরকারের শক্তি জনগণ।
এসময় সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জামাত-শিবির নিষিদ্ধের জন্য সংসদে প্রস্তাবনা তোলা হবে বলেও জানান নৌ-মন্ত্রী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাসদএকাংশের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, মুক্তিযুদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব (কল্যাণ) আলাউদ্দিন মিয়া, মুক্তিযুদ্ধা সংসদের সহ-সভাপতি ইসমত কাদের গামা, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব কালী নারায়ন লোধ প্রমুখ।
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম