নিউজ ডেস্ক : আড়াই বছরে বড়বাবুর পেটে গেছে ৫০০ কাঁঠাল, ৪০ মণ গম, আট মণ ছোলা ও আট মণ আখের গুড়। এমন তথ্য জানান, বড়বাবুর পালনকারী নজরুল ইসলাম। বড়বাবু নজরুলের পোষা গরুর নাম। তিনি আহ্লাদ করে এই নাম রেখেছেন। তার আরেকটি গরুর নাম ছোটবাবু।
নজরুলের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা গ্রামে। কোরবানিতে বড়বাবু আর ছোটবাবুকে বিক্রির জন্য রাজধানীর রামপুরা মেরাদিয়া বাজারে নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘বড়বাবুর দাম চেয়েছি ১৬ লাখ টাকা। আর ছোট বাবুর দাম চেয়েছি তিন লাখ টাকা। ক্রেতারা বড়বাবুর দাম সাত লাখ টাকা পর্যন্ত বলেছেন।’
বাজারে আসা লোকদের মধ্যে অনেকেই বড়বাবুকে দেখতে আসেন। বড়বাবুর দাম ১৬ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে শুনে আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘দাম তো অনেক।’
এ সময় নজরুল বলেন, ‘বাড়বাবুর পেছনে খরচ আছে। এ পর্যন্ত তাকে ৪০ মণ গম, ৫০০ কাঁঠাল, আট মণ ছোলা ও আট মণ আখের গুড় খাওয়ানো হয়েছে।’
নজরুল ইসলাম জানান, ফিজিএম ক্রস প্রজাতির এই গরুটিতে ২৪ থেকে ২৫ মণ মাংস হতে পারে বলে চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় কশাইরা ধারণা করছেন। গরুটির উচ্চতা মেপে দেখেছেন, সাড়ে পাঁচ ফুট আর লম্বায় ৯ ফুট।
বাজারে বসে গরুটিকে কী খাওয়ানো হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গমের ছাল আর ধানের খড় খাওয়ানো হচ্ছে। এগুলো চুয়াডাঙ্গা থেকে নিয়ে এসেছেন।
নজরুল দাবি করেন, গরুটিকে মোটাতাজা করতে কোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ানো হয়নি। আড়াই বছরে মাত্র একবার কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে।
১৬ লাখ টাকার নিচে গরু বিক্রি করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম কমবেশি তো হবে। এই বাজারে ক্রেতার চাপ বুঝে দেখি। বাড়ানো কমানোর দরকার মনে হলে বাড়ানো বা কমানো হবে। -রাইজিংবিডি
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম