ঢাকা: ‘সংঘাত নয় ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ি’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে দেশবাসীকে সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।
আন্তর্জাতিক অহিংস দিবসকে সামনে রেখে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও শান্তির পদযাত্রায় অংশ নেয় এসব সংগঠন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের উদ্যোগে এই ‘শান্তির জন্য পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন ও শান্তির পদযাত্রায় উপস্থিত থেকে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় বৈশ্বিক পরিস্থিতিও আজ অত্যন্ত অস্থিরতা ও সংঘাতপূর্ণ। এ পটভূমিতে দাঁড়িয়ে বিশ্ব মানবতার শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালন করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী শক্তির অপতৎপরতা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। যা শান্তিকামী মানুষের জন্য অস্বস্তিদায়ক। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সকলকে সমস্বরে জেগে উঠতে হবে।
তিনি আরো বলেন, যারা রাজনীতিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে তাদের অপরাজনীতি ও হিংসা-বিদ্বেষের প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বিশিষ্ট কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, যুদ্ধের বিকল্প আছে কিন্তু শান্তির কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশ একটি শান্তির দেশ এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নেই।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, নিকট অতীতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কল্পনা করলে আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে দ্বন্দ্ব- সংঘাতের চিত্র। আমরা দেখেছি শুধু কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নিরীহ মানুষগুলোকে পেট্রোল বোমা দিয়ে আহত ও নিহত করা হয়েছে। এগুলো ছিল জঙ্গি কায়দায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।
সম্প্রতি শিশু নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে বক্তারা আরো বলেন, বেশ কয়েক মাস যাবত দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কায়দায় শিশু ও নারীদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
মানবন্ধন ও পদযাত্রায় আরো বক্তব্য রাখেন— বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর আহমেদ, সুজনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ এন এম তপন ইসলাম প্রমুখ।
৩ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ