ঢাকা : বিভিন্ন গ্রুপের চাঁদাবাজির কারণে সীমান্তে আটকে আছে ১৩ লাখ গরু বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ সীমান্ত গবাদিপশুর খাটাল মালিক আবদুস সামাদ।
এতে দেশে কোরবানির পশুর দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সংকট দেখা দিতে পারে বলেও দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ সীমান্ত গবাদিপশুর খাটাল মালিক আবদুস সামাদ বলেন, ভারতের মুর্শিদাবাদ ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে ১৩ লাখ গরু। কিন্তু স্থানীয় ক্ষমতাশালী একাধিক গ্রুপ ও চাঁদাবাজির কারণে গরুগুলো আনা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সীমান্তে পৃথক ১০টি
চাঁদাবাজ গ্রুপ রয়েছে। প্রতিটি গরু আমদানি করলে তাদের আড়াই হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এভাবে ১০টা গ্রুপকে মোট ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে দেশে গরু প্রবেশ করাতে হয়। এতে গরুর দাম দ্বিগুণ পড়ে যায়।
আবদুস সামাদ বলেন, দেশের খামারিদের মাধ্যমে উৎপাদিত গরুতে কোরবানির ৪০ শতাংশ চাহিদা পূরণ হয়। বাকি ৬০ শতাংশ গরু বৈধ পথে দেশে আমদানি করে থাকে খাটাল মালিকরা।
গরু ব্যবসায়ী আবদুস সামাদ বলেন, চাঁদাবাজি ঠেকাতে সীমান্তে যে পরিমাণ টহল দেয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়। বিজিবির টহল আরো জোরদার করতে হবে। তাহলে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য কমবে। বৈধ পথে সরকারকে রাজস্ব দেয়ার মাধ্যমে গরু আমদানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাজিদুল ইসলাম, জহির রায়হান, ওমর ফারুক, জালাল বিশ্বাস, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
৯ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম