শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৬:২১:৫২

সন্দেহভাজন ৪০ জঙ্গি নিয়ে সতর্ক পুলিশ

সন্দেহভাজন ৪০ জঙ্গি নিয়ে সতর্ক পুলিশ

আলাউদ্দিন আরিফ : সম্প্রতি সারা দেশে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর ৪০ জনের জঙ্গি সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে পুলিশ সদর দফতর। নিখোঁজ এসব সন্দেহভাজন জঙ্গি যে কোনো সময় বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে এমন আশংকায় নানা ধরনের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাই তাদের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ সন্দেহভাজনদের প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেন, সারা দেশে নিখোঁজদের বিষয়ে বিশদ খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এর মধ্যে ৪০ জন জঙ্গি কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের বিষয়ে আরও খোঁজখবর অব্যাহত আছে।

সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিষয়ে বাড়তি সতর্কতার বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, গুলশান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুর ও নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে নিহত জঙ্গিরা নিখোঁজ ছিল।

‘নিখোঁজ’ থেকেই তারা বড় ধরনের হামলা ও নাশকতা ঘটায়। নতুন ধারার জেএমবির (নিউ জেএমবি) এসব সদস্য কথিত হিজরতের নামে গৃহত্যাগ করে এবং দেশান্তরী হয়। বর্তমানে পুলিশের তালিকাভুক্ত নিখোঁজ ৪০ জনও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তারা যে কোনো সময় বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে- এমন আশংকা অমূলক নয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।

পুলিশ সদর দফতরের করা হালনাগাদ তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে তাদের নাম জানা গেছে।

সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মোহাম্মদ বাসারুজ্জামান। রাজশাহীর তানোর উপজেলার লালপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য সিরাজ উদ্দিনের ছেলে বাসারুজ্জামান। তার মামা তানোরের তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, ২০০৭ সালে বাসার নর্থ সাউথে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়।

দু’বছর আগে ঢাকায় বিয়ে করার পর তা আরও কমে যায়। গণমাধ্যমে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশের পর বাড়ির লোকজন বাসারুজ্জামানের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি জানতে পারে। পরিবারের ধারণা, বর্তমানে তিনি সিরিয়ার সীমান্তবর্তী কোনো এলাকায় আছেন।

পুলিশের তালিকায় আছে রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকার জুনায়েদ খান (পাসপোর্ট নম্বর- এএফ ৭৪৯৩৩৭৮) ও তার ভাই ইব্রাহীম হাসান খানের (পাসপোর্ট নম্বর- এএফ ৭৪৯৩৩৭৮) নাম। তারা কুষ্টিয়ার মিরপুরের মনির হোসেনের ছেলে। তাদের সর্বশেষ ঠিকানা ছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ১০ নম্বর বাড়ি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের দিকে তারা নিখোঁজ হন।

ধানমণ্ডির ১/৬/সি, মনেশ্বর রোডের বাসিন্দা মো. তৌহিদুর রহমানের ছেলে জুন্নুন সিকদারের (৩০) পাসপোর্ট নম্বর- বিই ০৯৪৯১৭২। নর্থ সাউথের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সাবেক ছাত্র জুন্নুনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার কান্দারগাঁও গ্রামে। ২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে নিখোঁজ সে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য হিসেবে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের ২০১৪ সালের শেষদিকে জামিন পান।

ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএসের সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের ছেলে আশরাফ মোহাম্মদ ইসলাম নিখোঁজ হওয়ার আগে পরিবারের সঙ্গে পান্থপথের ১৪/এ, কনকর্ড রিজেন্সি ভবনে বসবাস করতেন। রোজার ঈদের আগে তার পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে চলে গেছেন।

ধানমণ্ডির জুবায়েদুর রহিম (পাসপোর্ট নম্বর- ই ১০৪৭৭১৯) ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল ও পরে ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়ার ছাত্র ছিলেন। তার বাবার নাম বজলুর রহিম।

নিখোঁজের তালিকায় আছেন মালয়েশিয়ান মেরিন একাডেমির মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার চকনাধারা গ্রামের মোহাম্মদ রফিকুল্লাহ আনসারীর ছেলে নজিবুল্লাহ আনসারী। তার নিখোঁজের বিষয়ে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায় জিডি করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক লক্ষ্মীপুরের এটিএম তাজউদ্দিন ওরফে কাওছার (পাসপোর্ট নম্বর- এফ ০৫৮৫৫৬৮) ওই দেশেই পরিবার নিয়ে থাকতেন। সর্বশেষ ২০১৩ সালে অসুস্থ বাবাকে দেখতে বাংলাদেশে আসেন। এরপর মাঝেমধ্যে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে মায়ের খোঁজখবর নিতেন। একপর্যায়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে এবং টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেন। প্রায় দুই বছর ধরে নিখোঁজ তিনি। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আটিয়াতলী গ্রামের আবদুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে তাজউদ্দিন। তার মা তাহেরা বেগম আটিয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। পরিবারের সদস্যরা তাকে কাউছার নামেই জানেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জিনদপুর ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ওজাকি (পাসপোর্ট নম্বর- টি কে ৮০৯৯৮৬০)। তার প্রকৃত নাম সুজিত দেবনাথ। জাপানের এক নারীকে বিয়ে করে জাপানের নাগরিকত্ব নেন এবং সেখানেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন সিলেট ক্যাডেট কলেজের সাবেক এই ছাত্র। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ওজাকি রিসুমেকান ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ছিলেন। চার ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে পরিবারসহ তিনি সিরিয়া চলে গেছেন বলে গোয়েন্দারা ধারণা করছেন।

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার কেওয়াবাজারের (পশ্চিম খণ্ড) মো. রিদওয়ান ইসলাম তুহিনের পাসপোর্ট নম্বর- এএফ ৬১৯৮৪২৫। বাবা তৌহিদুল ইসলাম ও মা কুলসুম আক্তার (কুসুম)।

ঢাকার আশুলিয়া থানার টুঙ্গাবাড়ির ২ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়ির মো. আবদুল মালেকের ছেলে নিখোঁজ আবদুর রহমান মাসুদের পাসপোর্ট নম্বর এএ ৯৩৯৯৮০৬।

ডা. মো. আরাফাত আল আজাদ ওরফে আবু খালিদ আল বাঙ্গালী ওরফে ডাক্তার তুষারের বাবা ওয়াসিকুর আজাদ। তিনি কল্যাণপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বারিধারা সেক্টর ৮-এর ৪৫১নং বাড়ির বাসিন্দা তুষারের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকায়। তিনি সিটি ডেন্টাল কলেজের ছাত্র ছিলেন। গুলশান হামলার প্রশংসা করে আমাক নিউজ এজেন্সিতে যে ভিডিও বার্তা আপলোড হয়েছিল তাতে তুষারকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। তিনি বর্তমানে সিরিয়া আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিখোঁজ তাহমিদ রহমান সাফির ছদ্মনাম আবু ইসা আল বাঙ্গালী। তার বাবা প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মো. সাইফুর রহমান। মা মিসেস নাসিতা রহমান। বাসা রাজধানীর নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা-১-এর ৮/এ, সড়কের ১ নম্বর বাড়ি। তাহমিদ গ্রামীণ ফোনের সাবেক কর্মকর্তা ও ক্লোজআপ ওয়ান তারকা। সম্প্রতি গুলশান হামলার পর বাংলাদেশে অব্যাহতভাবে হামলা চালানো হবে বলে যে হুমকি দেয়া হয় সেখানে তাহমিদকে জোরালো বক্তব্য রাখতে দেখা গেছে। তিনি তুরস্কে হানিমুনে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হন।

সাইমুন হাছিব মোনাজের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ আবু মুছা। মায়ের নাম হোসনে আরা জয়েস। সাইমুনের স্ত্রীর নাম মিশু। ঢাকার বনানী থানার ২৩ নম্বর সড়কের ২২ নম্বর বাসার এ/৩ ফ্ল্যাটের বাসিন্দা তিনি। স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন তিনি।

নিখোঁজ বগুড়ার ব্যারিস্টার একেএম তুরকিউর রহমানের পাসপোর্ট নম্বর এএ৪৩৬৯৭৮৩। স্ত্রী রিদিতা রাহিলা ইকবালা (পাসপোর্ট- এবি ৬৫৫৫৮০০) ও মেয়ে রুমাইসা বিনতে তাকি (পাসপোর্ট- বিসি ০৭১৯১৮২)। শ্বশুর কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ইকবাল পিএসসি। তুরকিউর অস্ট্রেলিয়ায় লেখাপড়া করার সময় উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করেন এবং সিরিয়ায় যান। তার স্ত্রী ও মেয়ে ওমরাহ পালন করে ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল তুরস্কে যান।

পুলিশ সদর দফতরের তালিকায় থাকা নিখোঁজ সায়মা আক্তার মুক্তার বাবার নাম সোলায়মান শেখ। পাসপোর্ট নম্বর এক্স ০১৪৮২০০। স্বামী শফিকুল হক সুজন ওরফে সাইফুল। তার স্বামী সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। মুক্তার বর্তমান ঠিকানা খুলনার ইকবাল নগরে (স্কুলের দক্ষিণ পাশে)। তার স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার বাঁশবাড়িয়া পাকুড়তিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ৬ বছরের ছেলে আমান শেখ ও ৪ বছরের ছেলে রোমানকে নিয়ে ২০১৪ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে পালিয়ে যান। ওই সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। সিরিয়ায় যাওয়ার কিছুদিন পর ওসমান নামে তার এক ছেলে হয়।

রাবেয়া আক্তার টুম্পার বয়স (৩২)। তার পাসপোর্ট নম্বর এডি ২৯২২৮৪৬। বাবা মৃত সোলায়মান শেখ। স্বামী শরিফুল ইসলাম ইমন। তার বাসা মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্থানের পাশে। স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়ার পাকুড়তিয়ায়।

নিখোঁজ নুরুল ইসলাম মারজান ওরফে ফাহাদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র। বাড়ি পাবনার হেমায়েতপুরে আফুরিয়া গ্রামে। বাবা নিজামউদ্দিন পেশায় হোসিয়ারি শ্রমিক। সে গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অপারেশনাল কমান্ডার ছিল। নিউ জেএমবির এই গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বহুদিন ধরে খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দফতরের তালিকায় আছেন ঢাকার খিলগাঁওয়ের ৪২২/বি, বাড়ির বাসিন্দা ডা. রোকন উদ্দিন খন্দকার (৫০)। তার পাসপোর্ট নম্বর এএফ ১০১৩০৮৮। তিনি নিখোঁজ হওয়ার আগে ঢাকা শিশু হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী নাইমা আক্তারের পাসপোর্ট নম্বর বিসি ০০০৬৯৩৭। ডা. রোকনের মেয়ে ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রেজওয়ানা রোকনের (২৩) পাসপোর্ট নম্বর বিসি ০০৩৫১৯৮। আরেক মেয়ে রামিতা রোকনের (১৭) পাসপোর্ট নম্বর বিসি ০০৪৫৩৩৯। ছেলে সাদ কায়েসের পাসপোর্ট নম্বর বিএফ ০৪৮৬৬৪২। বর্তমানে তারা সিরিয়ায় আছেন বলে ডা. রুকনের ভাই যুগান্তরের কাছে দাবি করেন।

নিখোঁজ তালিকায় আছে গাইবান্ধার ৫ যুবকের নাম। তারা হচ্ছে- আরিফুল ইসলাম, রুহুল আমিন, লাভলু হোসেন, এহসান নাজমুন ও জিপসি শহিদ। তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানান, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তারা নিখোঁজ ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মাধ্যমে কোনো আতংকের কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের গ্রেফতার করা গেলে এ বিষয়ে জানা যাবে।

রংপুরের জেলরোড বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ের ১নং সড়কের ৩৮ নম্বর বাড়ির শেখ ইফতিখার আহমেদের ছেলে শেখ ইফতিসাম আহম্মেদ সামি (২২)। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

নিখোঁজের তালিকায় আছেন গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার বোর্ড বাজার এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে মহিবুর রহমান (৩০)। মাগুরা সদরের আবালপুর গ্রামের রওশন আলী খানের ছেলে খান মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান রাতুল (২৩)। তিনি শ্যামলী আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ঢাকায় তার বাসা ছিল আদাবরের বায়তুল আমান হাইসিংয়ের ৭ নম্বর সড়কের ৮৪৫ নম্বর বাড়িতে।

ঢাকার কলাবাগান এলাকার ১১৫ ক্রিসেন্ট লেকের বাসিন্দা কাজী মো. মইনউদ্দিন শরিফ (৩০) স্কলাস্টিকা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছাত্র ছিলেন।

নিখোঁজের তালিকায় আরও আছেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের নৌঘাঁটি মসজিদে হামলার আসামি সাখাওয়াত হোসেন ও তরিকুল ইসলাম। গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের নৌবাহিনীর ঘাঁটি ঈশা খান মসজিদে ককটেল হামলায় তাদের নাম আসে। এরপর থেকে তারা পলাতক। ফরিদপুরের বাদশা মল্লিকের ছেলে সিফাত মল্লিক, চট্টগ্রামের হাটহাজারীর এটিএম কাসেমের ছেলে নিয়াজ মোর্শেদ রাজা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম জগারিয়া গ্রামের আবদুল শেখের ছেলে মমিন হোসেন। মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের ১৬ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর বাড়ির মাহবুবুল হক দেওয়ানের ছেলে মোনায়ার হোসেন সবুজ। তিনি মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র ছিলেন। তার নিখোঁজের বিষয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় জিডি করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার চর হাসান হোসেন এলাকার মো. শাহাদাত হোসেনের ছেলে আইটি প্রকৌশলী এএসএম ফারহান হোসেনের (২৯) পাসপোর্ট নম্বর এজে ৪১১১৩২৬। তার সর্বশেষ ঠিকানা ছিল রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৩ নম্বর সড়কের ৩২ নম্বর বাড়িতে। গুলশানের অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হন তিনি। যদিও ফারহানের বাবা তার জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেছেন, শাহাদাত অপহরণের শিকার হয়েছেন। সূত্র : যুগান্তর
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে