সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৩:০৯:১৮

জঙ্গি মারজানের স্ত্রী প্রিয়তি আটক

জঙ্গি মারজানের স্ত্রী প্রিয়তি আটক

সাখাওয়াত কাওসার : রাজধানীর আজিমপুরে গ্রেফতার তিন নারী জঙ্গির মধ্যে একজন পলাতক নূরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী। তার নাম প্রিয়তি। আট মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। এর বাইরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জঙ্গির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তার প্রকৃত নাম শমসেদ হোসেন, তবে তার সাংগঠনিক নাম আবদুল করিম।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার স্ত্রী শারমীনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া তিন শিশুর মধ্যে ছেলে সন্তানটি এ দম্পতির সন্তান বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক কর্মকর্তা। বাকি দুই শিশুর একজন হলো সম্প্রতি মিরপুরে নিহত মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জুনাইরা ইসলাম ওরফে পিংকি।

গত শনিবার রাতে আজিমপুর ২ নম্বর বিডিআর গেটসংলগ্ন ২০৯/৫ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায়। ওই আস্তানা থেকে এক নারী তার ১০ মাস বয়সী শিশুসন্তানকে রেখে পালিয়ে যান। অভিযানে সন্দেহভাজন এক জঙ্গি নিহত হন। আহত হন তিন নারী এবং পুলিশের পাঁচ সদস্য। জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি মেয়েশিশু ও এক ছেলে শিশুকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে বাড়ি ভাড়া দেওয়ার অপরাধে বাড়ির মালিক হাজী কায়সারের বিরুদ্ধে আজ মামলা করবে পুলিশ। এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক সোবহানকে আটক করেছে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, নিহত জঙ্গির আঙুলের ছাপ নিয়ে তা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে। এর মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তির নাম শমসেদ। বাবার নাম মোসলেহ উদ্দীন। বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া উপজেলার মেহেরচণ্ডী গ্রামে। তবে শমসেদের ব্যাপারে বোয়ালিয়া থানার পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি। পুলিশ আশা করছে, মারজানকেও শিগগিরই গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, আটক তিন নারী জঙ্গির একজনের নাম হলো শায়লা আফরিন। তার বাবার নাম খন্দকার আবুল হোসেন। স্বামী শীর্ষ জঙ্গি আবুল বাশার ওরফে চকলেট। রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় তাদের বাড়ি। পুলিশ জানায়, নিহত জঙ্গি আবদুল করিম দুই মাস আগে ওই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই বাসাকেই আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছিল জঙ্গিরা।

গত শনিবার অভিযানের মাত্র দুই ঘণ্টা আগে ওই বাসা থেকে মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলা তার ১০ মাস বয়সী সন্তানকে নিয়ে অন্য একটি বাসায় যান। তবে তিনি এখনো আজিমপুর এলাকায়ই অবস্থান করছেন।  

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, নারী জঙ্গিদের অতর্কিত হামলার পাশাপাশি পুরুষ জঙ্গি সদস্য তাদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায়। এই তিন নারীই জঙ্গি দলের আত্মঘাতী দলের সদস্য। যদিও গতকাল পর্যন্ত তারা মুখ খোলেননি। - বিডি প্রতিদিন

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে