শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৪:১৪:৫৯

স্বামীর হাত ধরেই জঙ্গিবাদে আজিমপুরের সেই ৩ নারী

স্বামীর হাত ধরেই জঙ্গিবাদে আজিমপুরের সেই ৩ নারী

নিউজ ডেস্ক : স্বামীদের হাত ধরেই জঙ্গিবাদে জড়িয়েছেন আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানার সেই তিন নারী। আত্মঘাতী স্কোয়াড গঠন ছাড়াও স্বামীদের অবর্তমানে সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত ছিলেন তারা। অস্ত্র পরিচালনা থেকে শুরু করে বোমা তৈরিতেও নিয়েছেন প্রশিক্ষণ।

এমনকি তাদের শিশু সন্তানদেরও কথিত জিহাদে যুক্ত করেছিলেন। এছাড়া ফান্ড সংগ্রহের জন্য ব্যাংক ডাকাতির বড় ধরনের পরিকল্পনাও ছিল আজিমপুরে অভিযানে নিহত নিউ জেএমবি নেতা তানভির কাদেরি ওরফে আবদুল করিমের। ওই আস্তানা থেকে গ্রেফতার করিমের স্ত্রী খাদিজা প্রাথমিক জিজজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দাদের এ তথ্য দিয়েছেন।

১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুরের আস্তানায় অভিযানে আহত অবস্থায় গ্রেফতারের পর ওই তিন নারী এখনও পুলিশ প্রহরায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরা হলেন- জঙ্গি নেতা তানভির কাদেরি ওরফে আবদুল করিমের স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরেফ খদিজা, বাসারুজ্জামানের স্ত্রী শায়লা আফরিন ও নূরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তি। এদের মধ্যে শেষ দু’জন আশংকামুক্ত হলেও খদিজার অবস্থা এখনও আশংকাজনক।

এদিকে পুলিশি অভিযানের পর ওই আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৯ ধরনের আলামত। এর মধ্যে অস্ত্র ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ আলামতের মধ্যে একটি পেনড্রাইভ ও একটি ল্যাপটপ রয়েছে। এ ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্তের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, পেনড্রাইভে নিউ জেএমবির সাংগঠনিক তৎপরতা ও সংগঠনটির জঙ্গি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।

তিনি আরও বলেন, জঙ্গি নেতার স্ত্রীরাও অস্ত্র পরিচালনা এবং বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। এছাড়া দেশজুড়ে আত্মঘাতী মহিলা জঙ্গি স্কোয়াড গঠনে তারা বিশেষ ভূমিকা রাখছিলেন। স্বামীদের হাত ধরে কথিত জিহাদে যোগ দিলেও গ্রেফতার হওয়া নারী জঙ্গিরা ছিলেন ভয়ংকর। কথিত জিহাদের জন্য তারা নিজেদের কোমলমতি শিশুদের ব্যবহার করতেও দ্বিধা করতেন না। এ বিষয়ে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এডিসি ছানোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার বলেন, ওই আস্তানায় আরও কয়েকজন আসা-যাওয়া করতেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি ছেড়েছিল জঙ্গি করিম : মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি ছেড়েছিল তানভির কাদেরি ওরফে আবদুল করিম। এপ্রিলের শেষদিকে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া হয় সে। তারপর থেকেই তানভির কাদেরি, তার স্ত্রী খাদিজা, তাদের দুই ছেলে তাহরীম কাদেরি ওরফে রাসেল এবং আকিব কাদেরির কোনো খোঁজ নেই।

তানভীর কাদেরির পারিবারিক সূত্র বলছে, তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ারী ইউনিয়েনের পশ্চিম বাটকামারি গ্রামে। তার বাবা আবদুল বাতেন কাদেরি টেলিফোন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এলাকায় তিনি শিপার নামে পরিচিত। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট। ২০১৪ সালে সপরিবারে হজ করে আসার পর তার মধ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদের লক্ষণ দেখা দেয়। তার দাদা পাকিস্তানি নাগরিক ছিল।

তানভির কাদেরির বাবা বাতেন কাদেরি বলেন, এপ্রিলে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে বাসা ছাড়ার পর থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না। তখন সে বলেছিল মালয়েশিয়ায় সে ভালো চাকরি পেয়েছে। পরিবার নিয়ে সে সেখানেই যাওয়ার কথা বলেছিল।

স্বামীর মাধ্যমেই জঙ্গিবাদে তিন নারী : আজিমপুরের আস্তানা থেকে আহত অবস্থায় আটক তিন নারী জঙ্গির মধ্যে খাদিজা আত্মঘাতী জঙ্গি তানভির কাদেরির স্ত্রী, আফরিন ওরফে প্রিয়তি গুলশান হামলার অপারেশনাল কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী, শায়লা আফরিন নিখোঁজ জঙ্গি বাসারুজ্জামানের স্ত্রী। অপরদিকে ওই আস্তানা থেকে অভিযানের আগেই পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি জেবুন্নাহার ইসলাম ওরফে শীলা রুপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী। দুর্ধর্ষ চার জঙ্গির স্ত্রীরা তাদের স্বামীর মাধ্যমেই জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে বলে তথ্য পেয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

গ্রেফাতরকৃত তিন নারী উচ্চ শিক্ষিত : জানা গেছে, আফরিন ওরফে প্রিয়তীর গ্রামের বাড়ি পাবনার ইশ্বরদী এলাকায়। তার বাবার নাম আবদুল জলিল। মারজান তার খালাতো ভাই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মারজানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর মারজানের সঙ্গে সে বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। সূত্র জানায়, প্রিয়তী স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেছে। এরপর আর পড়াশোনা করেনি।

অপরদিকে জঙ্গি বাশারুজ্জামানের স্ত্রী শায়লা স্নাতকে পড়া অবস্থায় বছর দুয়েক আগে বাসা থেকে নিখোঁজ হয়। তার বাবার নাম আবুল হাসেম। এ ঘটনায় শায়লার পরিবারের পক্ষ থেকে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি জিডিও করা হয়েছিল। বাশারুজ্জামান ওরফে জামান ওরফে চকলেটের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে সে। আস্তানা থেকে উদ্ধার করা রুহী নামে এক বছর বয়সী শিশুটি তার। ওই শিশুকে আস্তানায় রেখেই সে অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।

জঙ্গি নেতা বাশারুজ্জামান ২০০৭ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়েছে। সে রাজশাহীর তানোর উপজেলার সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।

তানভির কাদেরি ঢাকা কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেছে। পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেয়। তার স্ত্রী খাদিজা সেভ দ্য চিলড্রেনে চাকরি করত। সেও উচ্চ শিক্ষিত বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।

জাহিদুলের স্ত্রী ও করিমের আরেক ছেলেকে খুঁজছে পুলিশ : মেজর জাহিদুলের স্ত্রী জেবুন্নাহার ইসলাম ও তানভির কাদেরি ওরফে আবদুল করিমের ১৪ বছর বয়সী আরেক ছেলে আকিব কাদেরিকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা। আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের চারদিন আগে জেবুন্নাহার সাংগঠনিক কাজে বাইরে যায়। করিমের ছেলে আকিবও সাংগঠনিক কাজে বাইরে ছিল। তাদের দু’জনকে খুঁজে পাওয়া গেলে নিউ জেএমবি সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

অভিযান শেষে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেছিল জঙ্গি করিমের ছেলে : আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় তানভির কাদেরির ১৪ বছর বয়সী ছেলে তাহরীম কাদেরি ওরফে রাসেল ছুরি হাতে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছিল। আজিমপুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজহারে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা কলেন, ওই জঙ্গি আস্তানায় দরজা ঠেলে ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তানভির কাদেরির ছেলে রাসেল ছুরি নিয়ে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আটক করা হয়। মামলায় তাকে পাঁচ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

তাহরীম কেন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিল বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, সে তার বাবা-মায়ের মতো জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাহরীম ধানমণ্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের লেভেল এইটের শিক্ষার্থী। গত কয়েক মাস ধরে সে স্কুলে অনিয়মিত ছিল।

আস্তানা থেকে ৩৯ ধরনের আলামত জব্দ করেছে পুলিশ : জঙ্গি আস্তানা থেকে বিভিন্ন ধরনের আলামত জব্দ করেছে পুলিশ। এসব আলামতের মধ্যে তানভীর কাদেরির রক্তের নমুনা, শটগানের একটি গুলির খোসা, কালো রঙের প্লাস্টিক বাট যুক্ত একটি চাকু, ১১ ইঞ্চি লম্বা একটি স্ক্রু ড্রাইভার, পলিথিনে মোড়ানো ১৫ গ্রাম মরিচের গুঁড়া, সাড়ে ৮ ইঞ্চি লম্বা প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত একটি কাঁচি, চার খণ্ড রক্তমাখা কাচ। মেইড ইন জাপান লেখা একটি ম্যাগাজিনযুক্ত তিনটি পিস্তল, একটি কালো রঙের পেনড্রাইভ।

এছাড়া চার লাখ টাকা, জিহাদি লিফলেটের কিছু ফটোকপিসহ কিছু গহনা জব্দ করা হয়েছে। ওই আস্তানা থেকে তিনটি পাসপোর্ট এবং একটি জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে মেজর (অব.) জাহিদুলের স্ত্রী জেবুন্নাহার ইসলামের নামে দুটি পাসপোর্ট (নম্বর-বি-০৪৫৮৭৪৭ ও বিএ-০৭৭৫৯১০) এবং তাদের মেয়ে জুনাইরা নুরীন (নম্বও : বিএ ০৭৫৭৩৪৪) জব্দ করা হয়েছে। মেজর জাহিদের শিক্ষাজীবনের চারটি সনদও জব্দ করা হয়েছে।

ল্যাপটপ-পেনড্রাইভে মিলতে পারে সংগঠনের অনেক গোপন তথ্য : আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া পেনড্রাইভে মিলতে পারে অনেক তথ্য। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিরা ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট সময় পায়নি। উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। সেখান থেকে পরবর্তী হামলার টার্গেট ও তাদের প্রশিক্ষণ সম্পর্কে অনেক তথ্য মিলতে পারে। নিউ জেএমবি সম্পর্কেও অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

আস্তানা থেকে উদ্ধার তিন শিশু কোথায়-কেমন আছে : আস্তানা থেকে উদ্ধার তিন শিশুর মধ্যে তানভীর কাদেরির ১৪ বছর বয়সী ছেলে তাহরীম কাদেরিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার পাঁচ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এরই মধ্যে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

এদিকে ওই আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া মেজর জাহিদুলের ৭ বছর কন্যা জুনাইরা নুরীন ওরফে পিংকি এবং জঙ্গি বাশারুজ্জামান ও শায়লা আফরিনের ১০ মাস বয়সী কন্যা রুহিকে মঙ্গলবার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধারের পর শিশু দু’টিকে পুলিশের ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছিল। পরে শিশু দু’টিকে তাদের নানা বাড়ির লোকজন নিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে পরিবারের হেফাজতে দেয়া হয়েছে।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে : আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযানে নিহত তানভির কাদেরি ওরফে আবদুল করিম, তার স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা, তাদের ১৪ বছর বয়সী সন্তান তাহরীম কাদেরিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া জঙ্গি বাশারুজ্জামানের স্ত্রী শায়লা আফরিন ও গুলশান হামলার অপারেশনাল কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী আফরিন ওরফে প্রিয়তীকে আসামি করা হয়েছে।

ব্যাংক ডাকাতির বড় পরিকল্পনা : আজিমপুরে নিহত জঙ্গি আবদুল করিমের ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল। তার স্ত্রী আবিদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা গোয়েন্দাদের এমন তথ্য দিয়েছে। তাদের ১৪ বছর বয়সী কিশোর ছেলে তাহরীম কাদেরি রাসেলের কাছেও মিলছে নানা তথ্য।

করিমের স্ত্রী খাদিজা গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছে, ফান্ড সংগ্রহের জন্য জঙ্গিদের নিয়ে তার স্বামী বড় ধরনের ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। করিম আগে ব্যাংকে চাকরি করত। তাই ব্যাংকের ভোল্ট সম্পর্কে তার জানা আছে। স্ত্রীর এমন তথ্য নিয়ে করিমের আরও সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। - যুগান্তর
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে