রবিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৪২:৫০

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশি ৩২ হাজী

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশি ৩২ হাজী

মোস্তফা কাজল : মিনায় পদদলিতের ঘটনায় মক্কার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২৩ বাংলাদেশি হাজীর মধ্যে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ৩২ জন। এসব হাজী এখনো বেঁচে আছেন কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে। গত শুক্রবার মক্কার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসাধীন আহত হাজী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে মোসতাকা হাসপাতাল মিনায় ১২, কিং আবদুল আজিজ হাসপাতাল মক্কায় ৮, হিরা হাসপাতালে ৬ এবং কিং ফাহাদ হাসপাতালে ৪ জনসহ ৩২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২৪ সেপ্টেম্বর জামারায় শয়তানকে পাথর মারার ঘটনায় পদদলিত হয়ে ৭৭১ হাজীর মৃত্যু হয়। আহত হন আরও প্রায় ১ হাজার ৫০০।

শনিবার পর্যন্ত ৪৬ বাংলাদেশি হাজীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩২ জন। এদিকে মিনার ঘটনায় সব নিহত ও আহতের হেলফ প্রোফাইলের কাজ শেষ করেছে সৌদি সরকার। মিনার মোসতাকা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে কথা হয় অক্সিজেন মাঙ্ পরা লালমনিরহাটের ওমর আলীর (৭০) সঙ্গে।

তিনি বলেন, 'আমি ২৪ সেপ্টেম্বর গুরুতর আহত হই। জ্ঞান ফেরার পর দেখি হাসপাতালের বেডে। আমার বুকের ব্যথা এখনো কমেনি।' কর্তব্যরত চিকিৎসক হাশমি রেজা বলেন, ওমর আলীর অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। এ হাসপাতাল ঘুরে আরও দেখা যায়, অন্য ১১ জনের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকার মগবাজার এলাকার হুমায়ুন কবির, নোয়াখালীর খোরশেদ আলম, চট্টগ্রামের মনিরুজ্জামান, কুমিল্লার আবুল কাশেম, সিলেটের জলিল শেখ, খুলনার আবুল হোসেন, কুষ্টিয়ার গাজী রকিবুল হোসেন, মানিকগঞ্জের ইয়াকুব হোসেন, ফরিদপুরের মাহতাব মিয়া, বগুড়ার দেলোয়ার হোসেন ও টাঙ্গাইলের তসলিম আহমেদ।

কিং আবদুল আজিজ হাসপাতাল : এ হাসপাতালে রয়েছেন আটজন। তাদের সবার অবস্থা সংকটাপন্ন। ছয়জনকে রাখা হয়েছে করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে এবং দুজনকে রাখা হয়েছে জরুরি বিভাগে। আটজন হলেন- রাজশাহীর মিলন পাটোয়ারি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নূরুল হোসেন, ময়মনসিংহের কবির হোসেন, ফেনীর কফিল হোসেন ও খান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের ইরফান উদ্দিন ও শাহজাহান মিয়া এবং ঢাকার মিরপুরের জাবেদ ইকবাল। এ হাসপাতালের চিকিৎসক সালামাত বিন তালাত বলেন, 'বাংলাদেশের আটজন বর্তমানে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সবার অবস্থা সংকটাপন্ন। উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

হিরা হাসপাতাল : এ হাসপাতালে ছয়জন বাংলাদেশি হাজী চিকিৎসাধীন আছেন। সবাই জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে কথা হয় শেরপুরের নূরুল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি গুরুতর আঘাত পেয়েছি। ঘটনার পর থেকেই এ হাসপাতালে চিকিসাধীন।

কিং ফাহাদ হাসপাতাল : এ হাসপাতালে বর্তমানে চারজন বাংলাদেশি হাজী চিকিৎসাধীন। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে তারা এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন গোলাম হোসেনের ছেলে আকবর হোসেন বলেন, আট দিন ধরে আমার আব্বা এ হাসপাতালে চিকিসাধীন। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি।-বিডিপ্রতিদিন
৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে