নিউজ ডেস্ক : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ানো হচ্ছে। আগে উচ্চমাধ্যমিক পাস হলেই হতো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ শিক্ষকই নারী। তাদের অধিকাংশই উচ্চমাধ্যমিক পাসের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করেন।
৭ বছর পর ৬৫ শতাংশ শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পান। প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীতকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।
এ কারণে এখন পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে স্নাতক (ডিগ্রি পাস)। সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা বর্তমানে স্নাতকই নির্ধারিত আছে।
সারাদেশে ১৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। শিগগিরই এসব পদ পূরণে নিয়োগের নীতিমালা সংশোধনে কাজ করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে স্নাতক থাকতে হবে। এজন্য নিয়োগবিধি সংশোধন করা হচ্ছে। নিয়োগবিধি চূড়ান্ত করে অর্থ, জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেয়া হবে।
জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে হলে নারী প্রার্থীদের এইচএসসি পাস এবং পুরুষ প্রার্থীদের স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। নিয়োগ পাওয়ার পর শিক্ষকদের তিন বছরের মধ্যে সার্টিফিকেট-ইন এডুকেশন অথবা ডিপ্লোমা-ইন এডুকেশন প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
সূত্রে জানা যায়, তিন বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে না পারলে শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ী করা হবে না। আগে এ প্রশিক্ষণ নেয়ার সময় ছিল চার বছর। প্রশিক্ষণের সময় এক বছর কমিয়ে আনায় শিক্ষকদের চাকরি আরো কম সময়ে স্থায়ী করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের ৬০ শতাংশ কোটা রয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ৬৫ হাজার ৮৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত অধিকাংশ শিক্ষকই নারী।
আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল এসএসসি। ২০১৩ সালে তা বাড়িয়ে এইচএসসি করা হয়। এখন এইচএসসি বা সমমান অথবা স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করা নারীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেতে নারী-পুরুষ উভয়েরই স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি পরীক্ষায় কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে।
১৭ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম