রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০১:১০:২৩

আজিমপুর আস্তানায় যাতায়াতকারী জঙ্গিদের খুঁজছে পুলিশ

আজিমপুর আস্তানায় যাতায়াতকারী জঙ্গিদের খুঁজছে পুলিশ

আল-আমিন : ঢাকার আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানায় আরো একাধিক জঙ্গির যাতায়াত ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। চলতি মাসের প্রথম দিন ঢাকার আজিমপুরের বিডিআর রোডের ওই বাসাটি ভাড়া নিয়েছিল নিহত জঙ্গি তানভীর ওরফে করীম ওরফে জমশেদ। এরপর থেকে করীম তার স্ত্রী খাদেজা এবং অন্য দুই জঙ্গির পরিবারকে রেখেছিল।

ওই বাসাটি ভাড়া করার পর থেকে অন্য জঙ্গিরা যাতায়াত করতো সেখানে। তারা সেখানে বসে জঙ্গি কার্যক্রমসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পরিকল্পনা করতো। সেখানে যাতায়াতকারী কয়েকজন জঙ্গিকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। আহত তিন নারী স্বামীর কথায় জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হয়েছে। ওই জঙ্গি আস্তানায় আহত তিন নারী জঙ্গিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওইসব তথ্য পেয়েছে পুলিশ। অনুসন্ধান ও ডিবি পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

১০ই সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে লালবাগ থানাধীন বিডিআর ২ নম্বর গেটের ২০৯/৫ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড টান্সন্যাশনাল ইউনিট। ওই সময় বাসার মধ্যে থেকে গুলি ছুঁড়ে দুর্বৃত্তরা। এরপর ওই বাসা থেকে পুলিশ করীমের লাশ উদ্ধার করে। তখন তিনজন নারী জঙ্গি ও পুলিশসহ মোট ৮ জন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে তিন শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড টান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটি)।

এ বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড টান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটি) এডিসি ও আজিমপুরের ঘটনার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, রূপনগরে নিহত জঙ্গি মেজর মুরাদ ওরফে জাহিদুলের পরিবারকে ওই বাসাটি ভাড়া করে দিয়েছিল নিহত জঙ্গি করীম ওরফে জমশেদ। ওই বাসায় একাধিক জঙ্গির যাতায়াত ছিল বলে আহত তিন নারী জঙ্গির কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে পুলিশ। তিনি আরো জানান, ওই জঙ্গিদের চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে। তাদের খুঁজছে পুলিশ।

সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি তামিমের প্রধান সহযোগী ছিল মেজর জাহিদুল। তামিম নিহত হওয়ার পর থেকে জাহিদুলকে খুঁজছিল পুলিশ। একপর্যায়ে জাহিদুলের বন্ধু করীম ওরফে জমশেদের নাম জানতে পারে পুলিশ। মেজর জাহিদুল রূপনগরে নিহত হওয়ার পর থেকেই পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছিল জঙ্গি করীমকে। গোয়েন্দারা জানতে পারে যে, জমশেদ তার পরিবার এবং আরো দুই জঙ্গির পরিবারকে নিয়ে আজিমপুরের একটি বাসা ভাড়া করে বসবাস করছে। এরপর থেকেই ওই বাসাটি চিহ্নিত করার করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। ওই বাসাটি ভাড়া করে দেয়ার ক্ষেত্রে রূপনগরে নিহত জঙ্গি মেজর জাহিদুলের ভূমিকা ছিল।

সূত্র জানায়, আহত তিন নারী জঙ্গি স্বামীর কথাবার্তায় জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তারাও একপর্যায়ে বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয় কথাবার্তা বলে নারী জঙ্গি সংগ্রহ করতো। তাদের স্বামীরা আগে জেএমবির সঙ্গে জড়িত ছিল। জেএমবির নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে তারা নব্য জেএমবি গঠনের চেষ্টা করতো। তারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম ইন্টারনেটে দেখে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়। এমজমিন
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে