রবিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:৫২:৪২

একাধিক পদ দখলের হিড়িক বিএনপিতে

একাধিক পদ দখলের হিড়িক বিএনপিতে

কামরুল হাসান : বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন। নব্বইয়ের গণভ্যুত্থানের সাবেক ডাকসু নেতা। নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতিও। একাই গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ দখলে রেখেছেন। তার সহধর্মিণী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক। আবার কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সহসম্পাদক। অর্থাৎ একই পরিবারে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ পদ কুক্ষিগত। তাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, খোকন নরসিংদীর রাজনীতি নিয়েই বেশি ব্যস্ত। আবার জেলার নেতাকর্মীরা জানান, আমাদের নেতা কেন্দ্রীয় রাজনীতি নিয়েই বেশি ব্যস্ত। একই ঘটনা শিরীন সুলতানার ক্ষেত্রেও।

তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে থাকেন বলে কেন্দ্রীয় রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। এমনটাই বিশ্বাস নেতাকর্মীদের। কিন্তু দলের মধ্যে কোনো মনিটরিং সেল না থাকায় এসব নেতা সমানতালে দুই পদের কার্যক্রমকে পরিচালনা করতে পারছেন কি না তার কোনো জবাবদিহিতা নেই, মূল্যায়নও নেই কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের কাছে। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। আবার ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাও। একাই তিনটি পদ দখল করে আছেন। জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, তিনি-তো ঢাকার রাজনীতি নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। আবার রাজধানীতেও তার দেখা নেই।

এসব বিষয়ে দলের নেতাকর্মীরা জানান, দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত এমন একাধিক পদ দখলকারী অনেক নেতা বহাল তবিয়তে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই। অথচ, দলের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য যুগের পর যুগ অপেক্ষার প্রহর গুনছেন মাঠপর্যায়ের অনেক ত্যাগী আর পরীক্ষিত নেতাকর্মী। যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিকে আঁকড়ে রেখেছেন, পদ-পদবি ছাড়াও রাজপথে অবস্থান করছেন, অকাতরে জীবন দিচ্ছেন, জেল-জুলুম সহ্য করছেন। অনেক মেধাবী ছাত্রদল নেতা হারিয়ে যাচ্ছেন ইতিহাসের পাতা থেকে। তাদের দল সংগঠিত করতে পারছে না, পদ-পদবি দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতেও পারছে না- পদ সংকটের অজুহাতে।

সূত্র জানায়, দুই দফার ব্যর্থ আন্দোলন শেষে পুরো দলকে পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার এই ঘোষণার পর আবারো ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন একাধিক পদধারী নেতা। তারা আরো পদ চান। কেউ যুবদলের, কেউ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃত্ব চাইছেন। লবিং-তদবিরও শুরু করেছেন এ জন্য। কিন্তু দলের বাইরে অবস্থানকারীদের নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

একই অবস্থা বিরাজ করছে জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোতেও। জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলে রেখে উপজেলা কমিটিতেও তার অবস্থান নিশ্চিত করতে চাইছেন তারা। আবার নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে জেলাভিত্তিক বিভিন্ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ওই নেতার আত্মীয়স্বজন, পরিবার কিংবা বাসা-বাড়ির কাজের লোক দিয়ে হলেও পদ দখলের চেষ্টা চলে। ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাদের বঞ্চিত করেই তাদের এ পদায়ন করা হয় বলে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

এ রকমভাবে গত বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হয়েছেন বিএনপির সাবেক এমপি, সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির বর্তমান প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ফারুক।

এসব বিষয়ে নোয়াখালী জেলার এক নেতা বলেন, এ ধরনের নেতারা গাছেরটাও খাবেন, আবার মাটিরটাও কুড়াবেন। এরাই দলের নেতা, এরাই দলের কর্মী। এদের বাইরে আর কেউ বোধ হয় বিএনপি করে না। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত সব পদ তাদের দরকার। কিন্তু বিএনপি কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের এক নেতা একটি পদ নীতি মেনে অবিলম্বে একাধিক পদ প্রাপ্ত সব নেতার একটা পদ রেখে অন্যান্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হোক। জয়নাল আবেদীন ফারুককে অবিলম্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত।

তৃণমূল নেতারা জানান, কমিটিতে স্থান পেতে নেতায়-নেতায় দ্বন্দ্ব-কোন্দল এমনকি কোনো ক্ষেত্রে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটলেও একাধিক পদ দখল করে রয়েছেন দলের অনেক নেতা। তারা একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলে রেখেছেন তেমনি জেলা কমিটিরও শীর্ষ পদও দখল করে আছেন। এক্ষেত্রে দলটির সিনিয়র নেতাদের দখলেই রয়েছে একাধিক পদ। কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার পরও নির্বাচনী এলাকায় নিজের প্রভাব ধরে রাখতেই তারা এসব পদ আঁকড়ে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে যুগ-যুগ ধরে পদবঞ্চিত হয়ে থাকতে হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীকে। নিয়মমাফিক দলের কাউন্সিল না হওয়া এবং সঠিক মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনার অভাবে বছরের পর বছর ধরে এসব নেতা একাধিক পদ দখল করে রেখেছেন বলে দলীয় সূত্র জানায়। যার কারণে ক্ষুব্ধ পদবঞ্চিতরা।

বিএনপি সূত্র জানায়, একাধিক পদ ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে বিএনপি হাইকমান্ডের নির্দেশ মানছেন না দলের কোনো নেতা। দলের গঠনতন্ত্রে এক নেতার একাধিক পদে থাকার বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বিধি-বিধান না থাকলেও গঠনতন্ত্র ১১ অনুচ্ছেদ জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে উল্লেখ রয়েছে- একই ব্যক্তি দলের একাধিক স্তরে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হতে নিরুৎসাহিত করা। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে বার বার মৌখিক নির্দেশ পাওয়া সত্ত্বেও তা তোয়াক্কা না করে পদ আঁকড়ে রেখেছেন তারা। একাধিক পদ ধরে রাখা নেতাদের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অনেক অভিযোগও জমা পড়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে নতুনরা জায়গা করতে পারছেন না দলের কোনো কমিটিতে। এর ফলে তৃণমূল অনেক দক্ষ নেতা লোকচক্ষুর আড়ালেই ঝরে পড়ছেন।

জানা গেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাই এখন ৫টি পদের অধিকারী। গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকানুযায়ী ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তিনি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার পর তিনি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্বে থাকার কারণে তিনি পদাধিকার বলে স্থায়ী কমিটিরও সদস্য। তবে দলের গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নামে কোনো পদ না থাকায় এক্ষেত্রে একটি ধূম্রজাল রয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে। বিএনপির এই গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরও প্রায় একযুগ ধরে তিনি কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পদ ও তার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতির পদ ছাড়ছেন না।

গঠনতন্ত্রকে সঠিকভাবে মূল্যায়িত না করে এক ব্যক্তি একাধিক পদের অধিকারী এমন অনেকেই আছেন বিএনপিতে। তাদের মধ্যে দুই পদে আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি একই সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবার ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক। শামসুজ্জামান দুদু চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য একই সঙ্গে দীর্ঘদিন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আবার চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিরও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান একই সঙ্গে ঢাকা জেলা বিএনপিরও সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে ঢাকা জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি আবদুল মান্নান একই সঙ্গে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য।

চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি। এরা সবাই চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য।

দলের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবর রহমান সরোয়ারও একাধিক পদ দখল করে আছেন। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, শ্রমিক দলের উপদেষ্টা, অন্যদিকে বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

বিএনপির দফতর সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা রুহুল কবির রিজভী আহমেদ একই সঙ্গে দলের যুগ্ম মহাসচিবের পদেও আছেন। অপর যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি। যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অন্য যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি।

রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তফা কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ সম্পাদক পদে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগের সাগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি। দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী একই সঙ্গে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি। চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সভাপতি।

রাবেয়া চৌধুরী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান একই সঙ্গে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ-বিষয়ক সম্পাদক কবির মুরাদ মাগুরা জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে তিনি জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন-বিষয়ক সম্পাদক। তিনি একই সঙ্গে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি। ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাদা মিয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-শিল্পবিষয়ক সম্পাদক। গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি। কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক বিএনপির অংগ সংগঠন জাসাস সভাপতি।

দলের কেন্দ্রীয় কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু একই সঙ্গে কমিটির গ্রাম সরকার-বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়া তিনি লালমনিরহাট জেলা বিএনপিরও সভাপতি। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু কেন্দ্রীয় কমিটির স্বনির্ভর-বিষয়ক সম্পাদক ও নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি। দলের যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুবদলের সভাপতির পাশাপাশি ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদকের পাশাপাশি নবগঠিত ঢাকা মহানগির বিএনপির সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

দলের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি। সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরে আরা সাফা মহিলা দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব নেতার পাশাপাশি আরো অনেক নেতা একাধিক পদ দখল করে আছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনার পরও তারা অতিরিক্ত পদ ছাড়ছেন না। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দলে প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকাতেও সমান ক্ষমতা প্রদর্শন করছেন তারা।

নেতাকর্মীরা জানান, এসব নেতার কারণেই ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলোতে এখন নেতৃত্বের জট সৃষ্টি হয়েছে। অথচ, তারা এসব পদ ছেড়ে দিলে ওই সব নেতার এখানে পুনর্বাসিত করা সম্ভব হতো। যাতে নেতৃত্বে আসার অনেক জট পরিষ্কার হতো।-মানবকণ্ঠ
৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে